অধিকার ডেস্ক:: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় শিব ও মনসা প্রতিমা ভাঙচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর লোকজন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, নাওডাঙ্গা গ্রামের রতিকান্ত রায়ের বাড়ির উঠানের মন্দিরে শিব ও মনসা মূর্তি রয়েছে। সোমবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত প্রতিমা ভাঙচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মন্দিরের ৪০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।

রতিকান্ত চন্দ্র রায় জানান, তার প্রতিবেশী গোলবার রহমান, মাইদুল ইসলাম ও বাদল চন্দ্র রায় রাতে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মন্দিরে আগুন জ্বলে উঠার ঘটনা জানান।

তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে মন্দিরের আগুন নেভান।

‘কারা প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেটা দেখিনি, তিনি বলেন।

‘আমার বাবা ও দাদা এই মন্দিরে পূজা করতেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমিও এই মন্দিরে পুজার্চনা করে আসছি।’

প্রতিবেশী গোলবার রহমান জানান, রাত আড়াইটার মধ্যে মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখতে রতিকান্তকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।

‘আমরা সবাই মিলে মন্দিরের আগুন নেভাই,’ তিনি বলেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি কাত্তিক চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিমা বাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হয়েছেন।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন রায় বলেন, প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দিরের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা তাদের জন্য হুমকি। দুর্বৃত্তরা হিন্দুদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।

পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সুষ্ঠু বিচার না পেলে প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবে বলে তিনি জানান।

ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসেছি।

ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস।