অধিকার ডেস্ক:: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে গোপালগঞ্জের সব আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়িয়েছে গোপালগঞ্জের বাস মালিক সমিতি।

গোপালগঞ্জ-ব্যাসপুর, টেকেরহাট ও কোটালীপাড়া রুটে চলাচলকারী লোকাল বাসে ভাড়া বেড়েছে ৩৫ টাকা এবং গোপালগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাসের ভাড়া বেড়েছে ১৫০ টাকা। এতে ভাড়া নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

বাস ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি জাফর হোসেন কালু।

সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঘুরে দেখা গিয়েছে, গোপালগঞ্জ থেকে ব্যাসপুরের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১০০ টাকা যা আগে ছিল ৬৫ টাকা। গোপালগঞ্জ থেকে ব্যাসপুরের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট বাড়া আদায় করা হচ্ছে ১১০ টাকা, যা আগের ভাড়া ছিল ৭০ টাকা, দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার ও গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার বাস ভাড়া রাখা হচ্ছে ৬০০ টাকা, যা আগের ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা। ভাড়া নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ যাত্রীদের।

এ বিষয়ে টেকেরহাট রুটে চলাচলকারী লোকাল বাস মাছুম পরিবহনের সুপারভাইজার সোহেল শেখ  বলেন, তেলের দাম প্রায় অর্ধেক বেড়েছে। আমরা যদি ভাড়া বেশি না নিই, তাহলে আমাদের খরচের টাকাও উঠবে না। তাই মালিক সমিতির অনুমতিক্রমে আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি।

এক যাত্রী বলেন, হঠাৎ করে তেলের দামের অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে অধিক ভাড়া আদায় করছে। ভাড়া বাড়ার বিষয়টি আমরা আগে থেকে জানতাম না। এসে দেখি এই অবস্থা। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের।

ভাড়া বাড়ার বিষয়ে গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি বলেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে আমরাও বিপাকে পড়েছি। তেলের দাম প্রায় অর্ধেক বেড়েছে। যাত্রীদের কাছ থেকে আগের ভাড়া নিলে আমাদের তেলের খরচও উঠবে না। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা লোকাল বাসে ৩৫ ও পরিবহনে ১৫০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছি। ভবিষ্যতে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে বাস ভাড়া সমন্বয় করে নেওয়া হবে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা, অকটেন ৪৬ ও পেট্রলে বেড়েছে ৪৪ টাকা। দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকায় কিনতে হবে।

দাম বাড়ার আগে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০, অকটেন ৮৯ ও পেট্রল ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।