ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ মার্চ ২০২২, ১১:১১ অপরাহ্ণ

পুলিশি বাঁধা লাঠিচার্জের মুখে নারায়ণগঞ্জে হরতাল পালন

আপডেট টাইম : মার্চ ২৮, ২০২২ ১১:১১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:: চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উচ্ছেদ ও গণতন্ত্র-ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে কেন্দ্রীয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকে অর্ধ দিবস হরতালের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলা হরতালের সমর্থনে ভোর ৫:৪৫ টায় ২ নং রেলগেইট থেকে মিছিল বের করে। মিছিল যখন চাষাড়া শহীদ মিনারে যায় তখন প্রথম পুলিশ বাধা দেয়, পরে মিছিল যখন জিয়া হলের সামনে যায় তখন পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করতে থাকে, সেখানে আহত হয় বাসদ ফতুল্লা থানার সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, শাওন, বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সদস্য নির্মল বর্মন, সামিউল, বাসদ বন্দর উপজেলার সদস্য মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সিপিবির নেতা ইকবাল হোসেন, বিকু রায় চৌধুরী, গণ সংহতি আন্দোলনের নেতা জাহাঙ্গীরআলম বাবু, মোমেন হোসেন প্রান্ত, বিপ্লবী ওর্য়াকার্স পার্টির নেতা মোহাম্মদ নয়ন মিয়া, সূরুজ আলী সহ আরও কয়েকজন। পুলিশ দফায় দফায় মিছিলে বাধা সৃষ্টি করে। পুলিশি বাঁধা লাঠিচার্জ উপেক্ষা করে মিছিল ২ নং রেল গেইটে আসলে এখানে নেতৃবৃন্দদের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং নেতৃবৃন্দকে বলেন ৫ মিনিটের মধ্যে মাঠ থেকে উঠে যেতে হবে এবং নেতাকর্মীদের ঘেরাও করে রাখেন। কিন্তু বামগণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ আন্দোলন অব্যাহত রাখে। পরে সৈয়দ আলী চেম্বারের সামনে সমাবেশ চলতে থাকে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ও বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক কমরেড নিখিল দাস, বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, বিপ্লবী ওর্য়াকার্স পার্টির
সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গণ সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, শিবসাথ চত্রবর্তী, আবু হাসান টিপু, অঞ্জন দাস, সেলিম মাহমুদ, বিমল কান্তি দাস, সুলতানা আক্তারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বাজার দর যে হারে বেড়েছে সেটা আমাদের দেশের মানুষের ভীষণভাবে কষ্ট হচ্ছে। এ কারনে যখন বাম জোট হরতাল ডেকেছে তখন মানুষ হরতালকে সমর্থন করেছে।

নেতুবৃন্দ আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে সদর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিছিলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়। পুলিশের হাত থেকে নারী কর্মীরাও রক্ষা পায়নি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও হামলাকারী পুলিশের বিচার চাই। হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অস্ত্র। এগণতান্ত্রিক অস্ত্র আওয়ামীলীগও বার বার ব্যবহার করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার না, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, তাই জনগনের প্রতি তাদের কোন দায় নেই। সুতরাং এই পুলিশ প্রশাসনের নামে পুলিশলীগ দিয়ে এই হামলা পরিচালনা করেছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দমন পীড়ন নির্যাতন করে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। আজকের হরতালের পর সরকারের উচিত অসৎ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বাজার জণগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। তা না হলে বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

শেয়ার করুন