ডেস্ক রিপোর্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক:: চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও ১৯ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিটিই) স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যানসমেন্ট প্রকল্পের (স্টেপ) অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকরা।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে নবম দিনের মতো অবস্থান এবং দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (কারিগরি শাখা) বাংলাদেশ। ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
দেশের ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এসব শিক্ষক কর্মরত। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বিশেষ করে করোনাকালে তাদের অবস্থা শোচনীয় রূপ ধারণ করেছে। মাঘের এ শীতে খোলামেলা শহীদ মিনারের পাদদেশে অনেক শিক্ষক ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান করছেন। আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনে কয়েকজন অসুস্থও হয়েছেন।
শাহনাজ পারভীন নামে একজন শিক্ষিকা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আর্কিটেকচার বিভাগে জুনিয়র ইনস্ট্রাকটার হিসেবে কর্মরত। গত ১৯ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ থাকার কারণে শহীদ মিনারে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী প্রকল্প থেকে তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কথা থাকলেও আড়াই বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অনুশাসনের ফলে এক বছর থোক বরাদ্দ থেকে বেতন পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
মেহেদি হাসান নামে আরেক শিক্ষক নিজেকে বীর বিক্রমের সন্তান পরিচয় দিয়ে বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কথা থাকলেও হয়নি। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন করছেন। এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করে দাবির ব্যাপারে জানালে তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।