ডেস্ক রিপোর্ট
৬ আগস্ট ২০২১, ২:৩৯ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক:: উন্মত্ত জনতার হামলায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের রহিম ইয়ার খান জেলার ভাং শহরে ভাঙচুর হওয়া মন্দিরটি সরকারি উদ্যোগে সংস্কার করা হবে। বৃহস্পতিবার এক টুইটে এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভাঙচুরের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতারেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাং শহরে মন্দির ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি পাকিস্তান পুলিশের পাঞ্জাব শাখার মহাপরিদর্শকের (আইজি) সঙ্গে যোগাযোগ নির্দেশ দিয়েছি- এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের যেন অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়।’
‘পাশাপাশি, যেসব পুলিশ সদস্যের গাফিলতির কারণে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটাতে পেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছি।’
‘আরও একটি কথা আমি বলতে চাই- ভাঙচুর হওয়া সেই মন্দিরটি সরকারি উদ্যোগে সংস্কার করা। সরকার সেই মন্দির তৈরি করে দেবে।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইমরান খান এই টুইট করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছেন। শুক্রবার পাকিস্তান পাঞ্জাবের মুখ্য সচিব ও আইজিকে তলবও করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
পাঞ্জাবের ভাং শহরে নয় বছর বয়সী এক ছেলে শিশুর জামিন আদেশ থেকে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়ে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, মাদ্রাসার গ্রন্থাগারের কার্পেটে মূত্রত্যাগের অভিযোগ উঠেছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই বালকের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানে প্রচলিত ব্লাসফেমি আইনের আওতায় সেই শিশুকে গ্রেফতার করে স্থানীয় আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। বুধবার তাকে জামিন দেন আদালত।
জামিন আদেশের পরই একদল উন্মত্ত জনতা স্থানীয় একটি গণেশ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, লাঠিসোটা, পাথর ও ইট হাতে মন্দিরে তাণ্ডব চালাচ্ছে একদল মানুষ।
পাঞ্জাব পুলিশের কর্মকর্তা আসিফ রাজা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
এছাড়া মন্দির ও তার আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আল জাজিরা