ডেস্ক রিপোর্ট

১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

শ্রমিক আন্দোলকে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে পরিণত করুন: কমরেড খালেকুজ্জামান

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ জানুয়ারি ’২৩ সংগঠনের সভাপতি কমরেড রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে ও খালেকুজ্জামান লিপনের পরিচালনায় ৮/৪-এ সেগুনবাগিচাস্থ ভ্যানগার্ড মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান, শ্রমিক ফ্রন্টের কোষাধাক্ষ্য জুলফিকার আলী, সদস্য আফজাল হোসেন ও রতন মিয়া।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক ফ্রন্ট ৪১ বছর ধরে শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, যখন তখন শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান, মর্যাদাপূর্ণ জীবন, আবাসনব্যবস্থা, রেশন, পেনশনের আন্দোলন শক্তিশালী করাসহ শ্রমিকের নানা অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে আসছে। একই সাথে লড়াই করে আসছে, যে শোষণমূলক পুঁজিবাদীব্যবস্থা শ্রমিকের জীবনে অভিশাপ হয়ে তাদের বুকে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে তার অবসানের লক্ষ্যে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক শ্রম দিয়ে সম্পদ তৈরি করে আর শ্রমিককে শোষণ করে মালিক শ্রেণির মুনাফা বাড়ে কিন্তু শ্রমিকের অভাব ও দুঃখ দূর হয় না। শ্রমিকের পরিশ্রমের দাম কম দিয়ে এবং শ্রমিক যা ব্যবহার করে যেমন : খাদ্য, পোশাক, শিক্ষা-চিকিৎসা, বাসাভাড়াসহ সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়ে মালিকরা মুনাফা করে এবং তা দিন দিন বাড়ছেই থাকে। বাংলাদেশের ৬ কোটি ৮২ লাখ শ্রমিক কৃষি-শিল্প, সেবা খাতে কাজ করে। তাদের শ্রমে দেশের জিডিপি, মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয় বাড়ে। কিন্তু তাদের মজুরি পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। মালিকদের বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংকের টাকা, বিদেশে সম্পদ সব বাড়ছে। শ্রমিকরা যে বেতন পায় তাি দিয়ে তাদের সংসার চালে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের জন্য জাতীয় নি¤œতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ ও আইন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রম অধিকার সংকোচনের সকল প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে; গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শ্রমিকদের রেশন, আবাসন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যথাযথ আইন ও মান নির্ধারণ করে ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদানের দাবি সমস্ত দিক থেকে যৌক্তিক প্রমাণীত হয়েছে। এই দাবি উপেক্ষা করা যাবে না। পুনর্বাসন ছাড়া হকার, রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে। প্রবাসী শ্রমিকরা আমাদের রিজার্ভ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের বিদেশ যাওয়ার ব্যয় কমাতে হবে, বিনা সুদে তাদের ঋণ দিতে হবে এবং ফিরে আসা প্রবাসীদের সহযোগিতা করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিদিন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে তাই তাদের জন্য বিমা এবং তাদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে হবে। মালিক ও শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলায় আগুনে পুড়ে, ভবন ধসে শ্রমিকের মৃত্যু হয় এর জন্য দায়ী মালিক ও কর্তব্য অবহেলার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উপেক্ষা করা যাবে না। নারী শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, নিপীড়নের শিকার হয় তাদের জন্য হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ শ্রমিকের অধিকার আদায়ের আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান নানা।

শেয়ার করুন