ডেস্ক রিপোর্ট

২৫ জুলাই ২০২৩, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

পাল্টাপাল্টি মামলায় সিসিকের ৭নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর কারাগারে

আপডেট টাইম : জুলাই ২৫, ২০২৩ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রসহ মহড়া এবং দলীয় কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত পাল্টাপাল্টি মামলায় বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানকে কারাগারে পাঠানোর এক দিন পর একই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ মো. আবদুল্লাহকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন সাঈদ আব্দুল্লাহকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা দুইজনই পৃথক মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সিসিক নির্বাচনকালীন সময়ে ৭নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গতকাল সোমবার আফতাব হোসেন খান সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক আব্দুল মোমেন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আফতাবের প্রার্থিতাও বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ মো. আবদুল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন।

এই মামলায় সাঈদ আবদুল্লাহ ছাড়াও ৭নং ওয়ার্ডের বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো. মোবারক হোসাইন, জীবন, ফরিদ মিয়া ও রাজন আহমদকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ১১ জুন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭নং ওয়ার্ডের লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন খানের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজাল জানান, দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারার মামলায় সাঈদ আব্দুল্লাহসহ ১১ জন উচ্চ আদালত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। আদেশ মোতাবেক আসামিরা সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন আবেদন করলে আদালত তা বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন সাঈদ মো.আবদুল্লাহ’র বাসার সামনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ৭-৮টি মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকজন যুবক মহড়া দেয়। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় মহড়ায় অংশ নেওয়া যুবকদের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানও ছিলেন। পরে নগরীর বিমানবন্দর থানায় আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন সাঈদ আবদুল্লাহ।

শেয়ার করুন