ডেস্ক রিপোর্ট

২৫ মে ২০২৩, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

চীনে আন্তর্জাতিক ভ্রমণমেলায় বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ

আপডেট টাইম : মে ২৫, ২০২৩ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন প্রস্তাবের আওতায় পর্যটন শিল্পে সঠিক তথ্য আনয়নের জন্য, ‘একত্রে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ’ এ থিম নিয়ে ৩১তম গুয়াংজু আন্তর্জাতিক ভ্রমণমেলা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি এবং পর্যটন খাত পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হওয়ার পর এ ভ্রমণ প্রদর্শনীটি চীনে অনুষ্ঠিত প্রথম বড় আকারের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন অনুষ্ঠান।

তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ ভ্রমণমেলাটি গুয়াংজু আমদানি ও রপ্তানিমেলা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে সহযোগিতা করে গুয়াংজু পৌর পর্যটন ব্যুরো। এতে বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকরা এ আন্তর্জাতিক ভ্রমণমেলায় অংশগ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণমেলাটি ২২,০০০ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে প্রদর্শনী হয় এবং ৫৫টি দেশ ও অঞ্চলের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। মেলায় সাংস্কৃতিক ও পর্যটন একীকরণের নতুন প্রবণতাকে কেন্দ্রীভূতভাবে প্রদর্শন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্যটনের ডিজিটাল বিকাশ, ডিজিটাল সংস্কৃতি ও পর্যটনের যৌথ প্রদর্শনী অনেক দর্শককে আকৃষ্ট করেছে, যা একটি নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার পর্যটন ও ভূমিমন্ত্রী হারলেম ফার্নান্দো, গুয়াংজু শহরের ভাইস মেয়র থান পিং, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিবেল রডরিগ, হংকং ট্যুরিজম বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়ে জুনদে, চীনে কিউবান দূতাবাসের পর্যটন পরামর্শক এলিজাবেথসহ আরও অনেকে।

এ ভ্রমণমেলায়, ট্রাভেল কোম্পানি এবং এজেন্সিগুলো জনপ্রিয় পণ্যের সরাসরি বিক্রয়, বিনামূল্যে উপহার প্রদান, কিস্তিতে ছাড়, টিকিট লটারি, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, দর্শনীয় স্থানের টিকিট, খাবারের কুপন, ভিসা, বিদেশে পড়াশোনাসহ বিপুল সংখ্যক পর্যটন পণ্য ও পরিষেবার জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছিল পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য।

মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি ট্রাভেল ভ্লগার কে এইচ শায়েখ আহমেদ বলেন, চীন বিশ্বের প্রাচীনতম সংস্কৃতি দেশগুলোর মধ্যে একটি, যার সঙ্গে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা, কাঠামো এবং ঐতিহ্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া আমরা আন্তর্জাতিক ভ্রমণমেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করছিলাম, যেখানে আমরা স্থানীয় ভ্রমণশিল্পের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। স্থানীয় সরকার দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের পর্যটনের জন্য অনেক সহায়তা করছে। এ মেলায় দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানি একই ছাদের নিচে একসঙ্গে ভ্রমণকারীদের বিশেষ অফার দিচ্ছে। অন্যান্য দেশগুলো চীন থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে কিভাবে এ ভ্রমণশিল্পের উন্নতি এবং পর্যটন খাতে পরিবর্তন আনতে পারে, এটি একটি স্থিতিশীল স্থানীয় অর্থনীতি এবং স্থানীয়দের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার, ট্রাভেল কোম্পানি এবং এজেন্সিগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উচিত এ ধরনের মেলায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের প্রচার ও প্রসার ঘটানো। পাশাপাশি এ ধরনের পর্যটন মেলার আয়োজন করা যেখানে অনেক দেশের পর্যটক, পর্যটন কোম্পানি এবং এজেন্সিগুলোর অংশ্রগহণ থাকবে। এ মেলার পাশাপাশি, গুয়াংজুর বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

২০২৩ সালে গুয়াংজু ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যাভেল এক্সপোর সম্মানিত দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা নিজেকে একটি নতুন উচ্চমানের পর্যটন গন্তব্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছে। প্রায় ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ব্যবস্থাপনা কোম্পানি, হোটেল গ্রুপ এবং স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। যা সম্পূর্ণরূপে দেশটিকে পর্যটন খাতে ‘ভারত মহাসাগরের মুক্তা’ হিসেবে স্বতন্ত্রতা প্রদর্শন করে।

বাংলাদেশ, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পোল্যান্ড, স্পেন, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কাসহ ৫৫টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ভ্রমণ কোম্পানি ও সংস্থা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতারা এবং পর্যটকরা আন্তর্জাতিক এ ভ্রমণমেলায় অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন