ডেস্ক রিপোর্ট

২২ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩০ অপরাহ্ণ

কমরেড লেনিন ও তার সন্নিবদ্ধ বিপ্লবী চেতনা

আপডেট টাইম : এপ্রিল ২২, ২০২২ ১০:৩০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সৌভিক রেজা ::

কমরেড লেনিনের মৃত্যুর পরপরই তার রাজনৈতিক পরিণামদর্শিতার কথা স্মরণ করে ম্যাক্সিম গোর্কি বলেছিলেন, ‘এই মানুষটি ছিলেন দূরদর্শী এবং বিজ্ঞ।’ আর সেইসঙ্গে ‘তার মাঝে প্রতিভা মূর্ত হয়ে উঠেছিল তার সময়ের আর সমস্ত মহামানবের চেয়ে অনেক বেশি হৃদয়গ্রাহীভাবে।’ গোর্কি সেই অর্থে রাজনীতিবিদ ছিলেন না, অসামান্য একজন লেখক ছিলেন, কিন্তু তার এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ব্যক্তি ও বিপ্লবী রাজনীতিবিদ লেনিন যেন তার স্বভাব আর ব্যক্তিত্বসমেত আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠেন। গোর্কি মহামানবের অন্তরাত্মার লেখক ছিলেন বলেই হয়তো সেটি সম্ভবপর হয়ে উঠতে পেরেছিল। নতুবা তিনি লেনিন সম্পর্কে কীভাবে বলেন, এই মানুষটি ‘বহু দূর অবধি দেখতে পেতেন।’ শুধুই কি তা-ই? রাজনৈতিক বক্তা হিসেবে লেনিনের পারঙ্গমতার কথা বলতে গিয়ে গোর্কি জানিয়েছিলেন, ‘অতি জটিল সব রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে এত সহজ-সরলভাবে কেউ বলতে পারেন তা আমি আর কখনো শুনিনি। বক্তা হিসেবে তিনি সুন্দর সুন্দর কথা তৈরি করেন না, কিন্তু প্রত্যেকটি শব্দকে যেন নিজের হাতের তালুতে রেখে অতি আশ্চর্য অনায়াসে তার সঠিক অর্থকে ফুটিয়ে তোলেন।’ আর এইভাবেই তিনি শ্রোতাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারতেন।

২. কোনো একটি প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে লেনিনের সারা জীবনের সুকৃতির পর্যালোচনা করা কঠিন; শুধুই কঠিন নয়, বলা যায় অসম্ভব। আমরা সেই অসম্ভবের পথে না-গিয়ে লেনিনের বিপ্লব-চিন্তা নিয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করব। মার্কস-এঙ্গেলস তাদের ‘কমিউনিস্ট ইশতেহার’ (ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৮) যেখানে গিয়ে সমাপ্ত করেছিলেন, ঠিক সেই জায়গা থেকেই লেনিন তার বিপ্লব-চিন্তা শুরু করেন। মার্কস-এঙ্গেলস বলেছিলেন, ‘নিজেদের মতামত আর লক্ষ্য গোপন রাখতে কমিউনিস্টরা ঘৃণা বোধ করেন। খোলাখুলি তারা ঘোষণা করেন যে, তাদের লক্ষ্য সিদ্ধ হতে পারে কেবল সমস্ত বিদ্যমান সামাজিক পরিবেশের বলপূর্বক উচ্ছেদ দিয়ে। কমিউনিস্ট বিপ্লবের আতঙ্কে শাসকশ্রেণিরা কাঁপুক।’ মার্কস-এঙ্গেলস একেবারেই দ্বিধাহীনভাবে বিদ্যমান সামাজিক পরিবেশের বলপূর্বক উচ্ছেদের কথা সরাসরি বলেছিলেন। লেনিন ঠিক একইভাবে অকপটে জনগণের সামনে ঘোষণা করেছিলেন, ‘মনে রাখবেন, একটা বিরাট গণসংগ্রাম এগিয়ে আসছে। এ হবে এক সশস্ত্র অভ্যুত্থান। যতদূর সম্ভব অবশ্যই তা যুগপৎ ঘটবে।’ আর সেইসঙ্গে তিনি এটিও বলতে দ্বিধা করেননি যে, ‘জনসাধারণের অবশ্যই জানা উচিত যে তারা একটা সশস্ত্র, রক্তাক্ত এবং বেপরোয়া লড়াইয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে।’ (১১ সেপ্টেম্বর, ১৯০৬)। শুধু এইরকম দু-একবার নয়, লেনিন বিপ্লবের সেই চরিত্রের কথা, বিপ্লবের প্রবণতার কথা, বলা যায়, সারা জীবন ধরেই বলে গিয়েছেন। ১৯১৬-তে এসে লেনিন বলেছেন, ‘যে-উৎপীড়িত শ্রেণি অস্ত্র ব্যবহার শিখতে, অস্ত্র জোগাড় করতে চেষ্টা করে না, দাসের মতো ব্যবহারই তাদের প্রাপ্য।’ আর তার সঙ্গে মার্কসবাদের সেই চিরায়ত সত্যি কথাটাও যোগ করতে তিনি ভোলেননি যে, শ্রেণিবিভক্ত সমাজের বাসিন্দা আমরা, শ্রেণি-সংগ্রাম ছাড়া সেখান থেকে মুক্তি ঘটে না।’ ১৯১৭ সালে লেনিন বলেছিলেন, ‘যে-কোনো বিপ্লবের শান্তিপূর্র্ণ বিকাশ খুবই বিরল এবং দুষ্কর। কেননা, বিপ্লব হচ্ছে সবচেয়ে তীব্র শ্রেণিগত দ্বন্দ্ব অসংগতিগুলোর সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রকোপন।’

৩. বিপ্লবে অংশ নেবে কারা? এই প্রশ্নে লেনিন শুধু শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতার কথাই উল্লেখ করেননি, সমান গুরুত্ব দিয়ে শ্রমজীবী নারীদের অংশ নেওয়ার কথাও জোর দিয়ে বলেছেন। ক্লারা জেটকিনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় লেনিন বলেছিলেন, ‘দয়াবতী খালা-ফুপুদের মতো মিউমিউ করা চলবে না। কথা বলা চাই জোর গলায়, যোদ্ধাদের মতো। কথা বলা চাই স্পষ্ট আর পরিষ্কার করে।’ তার নিজের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা থেকে লেনিন এই ব্যাপারটিও উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, ‘নারীরা যদি আমাদের দলে না থাকে, তাহলে প্রতিবিপ্লবীরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফল হবে।’ (জুলাই, ১৯২০)

সেইসঙ্গে মার্কসীয় তত্ত্ব রপ্ত করা এবং কমিউনিস্ট নৈতিকতার ওপরেও লেনিন গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে মার্কসীয় তত্ত্ব শুধুই কোনো ‘আপ্তবাক্য নয়, বরং কর্মের দিগ্দর্শন’। আর সে-কারণেই বারবার লেনিন বলেছেন, ‘মানবিক জ্ঞানের সমষ্টি থেকে কীভাবে কমিউনিজমের উৎপত্তি ঘটলতারই নমুনা হলো মার্কসবাদ।’ আর তাই, লেনিনের মতে, ‘মানবিক জ্ঞানের যাবতীয় সঞ্চয় আত্তীকরণ ছাড়া কমিউনিস্ট হওয়া যায়এই সিদ্ধান্ত টানার চেষ্টা করলে ভয়ানক ভুল হবে।’ সেই কারণেই লেনিন শুধু রাজনৈতিক স্লোগান মুখস্ত করা আর দলীয় সিদ্ধান্তকে যান্ত্রিকভাবে মেনে নেওয়াকেই একজন কমিউনিস্টের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেননি। সেইসঙ্গে প্রাণবান জ্ঞানসমষ্টিকে রপ্ত করবার ওপরেও জোর দিয়েছিলেন। (অক্টোবর, ১৯২০)

শুধুই নিছক বুলিসর্বস্ব বক্তৃতাবাজি করা নয়, লেনিন সারবান কথায় বিশ্বাস করতেন। তিনি তাত্ত্বিক জ্ঞানকে গুরুত্ব দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এটিও বলতে কোনো প্রকার দ্বিধা করেননি যে, মার্কসবাদের তত্ত্বগত কোনো কিছু শেখা মানেই ‘শুধু বই পড়ে আর বক্তৃতা থেকে শেখা নয়, কাজের মধ্যে থেকেই আর সেটা জনগণকে শেখানোর পাশাপাশি নিজেদেরও শেখার চেষ্টা করে যেতে হবে।’ (মার্চ, ১৯১৮) তার মানে এটা নয় যে, কমরেড লেনিন জ্ঞান-অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেননি। না, সেটি একেবারেই নয়। তবে তিনি জ্ঞানের পাশাপাশি বিচার-বিশ্লেষণটাকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। লেনিনের মতে, আমাদের ‘জ্ঞান রপ্ত করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, রপ্ত করতে হবে বিচার করে, যাতে আমাদের মন অপ্রয়োজনীয় আবর্জনায় ভরে না ওঠে। সেইসঙ্গে এমন সব তথ্যে আমাদের সমৃদ্ধ হতে হবে, যা ছাড়া কোনোভাবেই আধুনিক এবং শিক্ষিত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।’ (অক্টোবর, ১৯২০)

৪. একজন খাঁটি মার্কসবাদীর যেমন হয়ে থাকে, তেমনটাই রাষ্ট্র নিয়ে লেনিনের কোনো মোহ ছিল না। যুক্তিতর্ককে পেছনে সরিয়ে দিয়ে নিছক আবেগে ভেসে তিনি কখনোই বলেননি যে, রাষ্ট্র হচ্ছে সবার। বরং তিনি যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে, ‘বরাবরই রাষ্ট্র হলো পুরোপুরিভাবে প্রধানত শাসনকার্যে নিযুক্ত লোকদের নিয়ে গঠিত একটি যন্ত্র।’ যে-যন্ত্রটি কিনা ‘এক শ্রেণির ওপর আরেক শ্রেণির আধিপত্য সবসময়ই বজায় রাখতে চায়।’ রাষ্ট্রকে লেনিন ‘এক শ্রেণির ওপর আরেক শ্রেণির উৎপীড়নের যন্ত্র’ হিসেবেই দেখেছেন (জুলাই, ১৯১৯)। বাস্তবেও ব্যাপারটি তো তা-ই। এইখানে লেনিন ছিলেন একেবারেই নির্ভুল, অভ্রান্ত। এসবের পাশাপাশি লেনিন মনে করতেন, ‘প্রত্যেকটা বিপ্লবে বুনিয়াদি প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রক্ষমতা সংক্রান্ত প্রশ্ন। এই প্রশ্নটা উপলব্ধ না হলে (কারও পক্ষে) বিপ্লবে সজ্ঞানে অংশগ্রহণ হতে পারে না। বিপ্লব পরিচালনার তো কথাই ওঠে না।’

কমরেড লেনিনের মতে, বিপ্লব হচ্ছে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা কাদের বিরুদ্ধে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে লেনিন জানিয়েছিলেন যে, যুদ্ধটা হবে শোষকদের বিরুদ্ধে। যারা কিনা রাষ্ট্রকে কব্জা করে শোষণ-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই যুদ্ধে মেহনতি জনতার জয় অবশ্যম্ভাবী। লেনিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘এই যুদ্ধ কৃষককে জমি দেবে, দেশে দেশে শান্তি দেবে জনগণকে।’ আর তারই সঙ্গে ‘খুলে দেবে দুনিয়ার প্রলেতারিয়েতের জয়যুক্ত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সঠিক পথ।’ (এপ্রিল, ১৯১৭)। শুধুই নিছক তত্ত্ব নয়, লেনিন বাস্তবে ‘নভেম্বর বিপ্লব’ সংঘটিত করার মধ্যে দিয়ে মার্কসীয় তত্ত্বের একটি বাস্তব চেহারা দিলেন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে দুনিয়ার বুকে এটি কমরেড লেনিনের এক অনন্য অবদান।

৫. বিপ্লবী চেতনা এবং বিপ্লবকে সূত্রাকারে একটি সার্বভৌমিক চেহারা দিতে গিয়ে কমরেড লেনিন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কয়েকটি মূল নিয়মের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেই নিয়মের কথা বলতে গিয়ে লেনিন জানিয়েছেন, ‘শোষিত ও নিপীড়িতরা পুরনো কায়দায় দিন কাটানো অসম্ভব বলে মানছে ও পরিবর্তন দাবি করছে এইটুকুই বিপ্লবের পক্ষে যথেষ্ট নয়; শোষকরা পুরনো কায়দায় দিন কাটাতে ও শাসনকাজ চালাতে পারছে না এটিও বিপ্লবের জন্য অপরিহার্য।’ (এপ্রিল, ১৯২০)। তার নিজের এই বক্তব্যটাকে আরও খানিকটা সবিস্তারে বলতে গিয়ে লেনিন বলেছেন, ‘বিপ্লবের জন্য দরকার প্রথমত, এইটে ঘটানো যে, অধিকাংশ শ্রমিক বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছে এবং তার জন্য তারা মৃত্যুবরণে প্রস্তুত; দ্বিতীয়ত, শাসক শ্রেণিরা এমনসব শাসন-সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে তারা রাজনীতিতে টেনে আনছে সবচেয়ে পশ্চাৎপদ জনগণকে। যার ফলে সরকার দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিপ্লবীদের পক্ষে সেই দুর্বল শাসককে দ্রুত উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়।’ এর চেয়ে স্পষ্ট করে এখনো পর্যন্ত অন্য কেউ এভাবে বিপ্লবকে সূত্রায়িত করতে পারেননি। লেনিনের কথাটাকে যদি সংক্ষেপে বুঝে নিতে চাই, তাহলে সেটা দাঁড়ায় শাসকগোষ্ঠী যখন আর পুরনো কায়দায় শাসন করতে পারে না আর শোষিত জনগণ যখন সেই শাসনব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করতে দৃঢ়ভাবে প্রস্তুত থাকে, তখনই বিপ্লব সংঘটিত হয়। সেই কারণেই বিপ্লবে যুদ্ধটা যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি অবশ্যম্ভাবী শোষকগোষ্ঠীকে সক্রিয় আর সশস্ত্রভাবে উচ্ছেদ করা। এর কোনো বিকল্প আর নেই। বিপ্লবে জয় যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি পরাজয়টাকেও চরম ভেবে হতাশায় ডুবে যাওয়াটাকে লেনিন কোনোভাবেই সমর্থন করেননি। তিনি জোর দিয়েই উল্লেখ করেছেন ১৯০৫ সালের ব্যর্থ বিপ্লবের শিক্ষা নিয়ে অগ্রসর হতে পেরেছিলেন বলেই কমিউনিস্টদের পক্ষে ১৯১৭ সালের বিপ্লব সফল করা সম্ভব হয়েছিল। লেনিন বলেছেন, ‘১৯০৫ সালের ‘পূর্ণাঙ্গ রিহার্সাল’ ছাড়া ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের বিজয় অসম্ভব হতো।’ (এপ্রিল, ১৯২০)

৬. মানবজাতির আরেকজন মহান শিক্ষক ও বিপ্লবী মাও সে-তুং বলেছিলেন, ‘একটা ভালো কাজ করা কারও পক্ষেই কঠিন নয়। কঠিন হচ্ছে সারা জীবন ধরে ভালো কাজ করা, কখনো কোনো খারাপ কাজ না করা। সর্বদা ব্যাপক জনসাধারণ, যুবক ও বিপ্লবের জন্য হিতকর হওয়া আর কয়েক দশক ধরে একটানা কঠোর সংগ্রাম করাএটাই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ।’ গোটা মানবজাতির স্বার্থে কমরেড লেনিন আমৃত্যু সেইসব কাজই করে গিয়েছেন।

৭. একুশে জানুয়ারি, এই তারিখটি কমরেড লেনিনের মহাপ্রয়াণের দিন। শোকার্ত ম্যাক্সিম গোর্কি বলেছিলেন, ‘সারা দুনিয়ার কাছে লেনিনের মতো স্মরণীয় মানুষ আর কেউ নন।’ তিনি এ-ও বলতে ভোলেননি যে, ‘ভ্লাদিমির লেনিন মারা গেছেন। কিন্তু রয়ে গিয়েছেন তার মানসিক আর ইচ্ছাশক্তির উত্তরাধিকারীরা।’ যারা কিনা দুনিয়ার যে-কোনো মানুষের চেয়ে চিন্তায়, চেতনায় সজীব আর শক্তিশালী। কমরেড লেনিন দীর্ঘজীবী হোন।

লেখক অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন