ডেস্ক রিপোর্ট
১ জুন ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সমানে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে এক লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবসম্মত মনে করছি না।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট অধিবেশন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে এ কথা বলেন জি এম কাদের।
আজ বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জি এম কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে আছে। এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে, তা হয়তো আদায় হবে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছা করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। প্রত্যক্ষ করের পাশাপাশি সবকিছুতেই পরোক্ষ কর দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলবে। এ বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘এ বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না, তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এ বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যয়ের মধ্যে সবকিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার। আমরা মনে করি, আগে যা ছিল, তা-ই বেশি ছিল।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায়-আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা। কারণ, জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে, তাতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। এ বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমবে নাম, বরং বাড়বে।