ডেস্ক রিপোর্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০২ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: গণমুক্তি জোটের নেতারা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিপরীতে সরকার বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু গত দুইটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় সে কথা কেউ আর বিশ্বাস করে না। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে চার দফা দাবি জানান তারা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণমুক্তি জোট আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫২ বছরে কোনো শাসক দলই স্বাধীনতার অঙ্গীকার-সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। উল্টো দুর্নীতি, বৈষম্য, মতপ্রকাশে বাধা, টাকা পাচার, ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সে কারণে বড় দুই দলকে ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বর্জন করতে হবে এবং বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত দিয়ে তারা বলেন, একটি দল নির্বাচিত সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, আবার ২০১৮ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এসব কারণে মানুষ শুধুই বিভ্রান্ত হয়, আন্দোলনের সুফল পাওয়া যায় না। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় একদিকে যেমন সরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে, অন্যদিকে আরও বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়েছে।
সভায় জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণমুক্তি জোট ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেবে। তবে অবশ্যই সে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।
জোটের পক্ষ থেকে জানানো চার দফা দাবিগুলো হচ্ছে:
তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে; মন্ত্রীসভা ছোট করতে হবে এবং মন্ত্রীসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে; স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তির জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, প্রধান মুখপাত্র কাসেম মাসুদ, প্রধান উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্না, কো-চেয়ারম্যান ড. এ আর খান, আখতার হোসেন, সমন্বয়ক আমিনা খাতুন ও রাজু আহমেদসহ জোটের অন্যান্য সদস্যরা।