ডেস্ক রিপোর্ট
৩ আগস্ট ২০২৪, ৭:১৫ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সিলেটের চৌহাট্টা পয়েন্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্র জনতার উপর নির্মম পুলিশি হামলা নিন্দা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা আহ্বায়ক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক সিরাজ আহমদ, বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমদ সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সঞ্জয় কান্ত দাশ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চার নেতা সাম্যবাদী আন্দোলনের সুশান্ত সিনহা, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান, বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট মহীতোষ দেব এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ ০৩ আগষ্ট ২০২৪ বিকেল ৫ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সমাবেশ ও গণ অবস্থান কর্মসূচি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য এর সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের অন্যতম ছাত্রনেতা সঞ্জয় কান্ত দাস এর পরিচালনায় শুরু হওয়ার পরপরই চৌহাট্টা পয়েন্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে এক যোগে পুলিশ-বিজিবি ও ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসস্ত্রসহ আক্রমণ ক্রমে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও গুলি শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সমাবেশ ও গণ অবস্থান কর্মসূচিকে পন্ড করে দেয়।
বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র জনতার গণমিছিলের এই কর্মসূচিতে সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে এসেছে। সবার কণ্ঠে একই স্লোগান, ‘এই খুনি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, ভাই হত্যার বিচার করতে হবে’। কিন্তু দেখা গেল সরকার পূর্বের ন্যায় আবারও জনতার গণরায়কে আমলে না নিয়ে দমন পীড়নের পথেই হাঁটছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজও সিলেটের চৌহাট্টা পয়েন্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিল সে সময় পুলিশি হামলা করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এভাবে হামলা করে এই জনজোয়ার বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না সরকার। অব্যাহতভাবে এই দমন পীড়ন করে সরকার কোনভাবেই নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না বরং বিস্ফোরণকে আরও বেশি উসকে দেবে।
নেতৃবৃন্দ , সরকারের উচিত কালবিলম্ব না করে পদত্যাগ করে দেশের মানুষের এই গণরায়কে মেনে নেয়া এবং সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করার ।