ডেস্ক রিপোর্ট

২০ আগস্ট ২০২৩, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই সেলাই, তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট টাইম : আগস্ট ২০, ২০২৩ ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: গাইবান্ধা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারের সময় এক প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই প্রসূতি রংপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পেটে গজ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করা হলে তিনি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল্লাহেল মাফী। ঘটনা তদন্তে গত বৃহস্পতিবার একজন নারী কনসালটেন্টকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে গত ২৩ জুলাই রুমি বেগম নামে ওই প্রসূতির সিজার করেন শহরের গাইবান্ধা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. একরাম হোসেন।

সিভিল সার্জনের কাছে করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ জুলাই গাইবান্ধা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. মো. একরাম হোসেন রুমি বেগম নামে এক গৃহবধূর সিজার করেন। এর পাঁচ দিনের মাথায় ওই গৃহবধূর শরীরে নানা জটিলতা শুরু হয়। একপর্যায়ে তার অবস্থা খারাপ হলে গাইবান্ধা ক্লিনিকের সেই চিকিৎসকের কাছেই নেয় তার পরিবার। অবস্থা বেগতিক দেখে রুমি বেগমকে ভর্তি রেখে অপারেশন থিয়েটারে নেন। অপারেশনের পর গজ বের করে একটি কেবিনে রাখেন। রোগীর অবস্থা অবনতি হলে পরিবার ও পুলিশের তোপের মুখে গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার্ড করা হয়।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রংপুরের নাজমা ক্লিনিকে অপারেশনের মাধ্যমে গৃহবধূর পেট থেকে ময়লা ও পচা অংশ অপসারণ করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।

ভুক্তভোগী রুমি বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মেজবাহুল হকের স্ত্রী।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মো. একরাম হোসেন বলেন, তৃতীয় সিজার হওয়ার কারণে রুমি বেগমের অপারেশনটি জটিল ছিল। সিজারের পর তার সমস্যার বিষয়টি জানার পর আমরা তার চিকিৎসা করতে চেয়েছি। কিন্তু তার স্বামী আমার এখানে চিকিৎসা করতে রাজি না হওয়ায় আমি তাকে রংপুর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি। তারপর রোগীর স্বজনরা আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি।

বিষয়টি জানতে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল্লাহেল মাফী জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ বিষয়ে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন