ডেস্ক রিপোর্ট
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকের মধ্যাঞ্চলীয় শহর কারবালায় সদ্যই শেষ হলো শিয়াপন্থী মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জামায়েত আ’বাইন। বুধবার শেষ হয়েছে এই জমায়েত।
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)’র চাচাত ভাই এবং জামাতা হযরত আলী (র.) অনুসারীরা শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলিম নামে পরিচিত। শিয়া মুসলিমদেরই একটি ধর্মীয় জমায়েত এই আ’বাইন, যার অর্থ ‘চল্লিশ’।
ইসলামি চান্দ্র বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ আশুরা পালন করেন শিয়া-সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ের মুসলিম। খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকে এই দিনে ইরাকের কারবালার যুদ্ধক্ষেত্রে ইসলামি খিলাফতের দাবিদার ইয়াজিদের সৈন্যদলের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন হযরত আলী (র.)’র কনিষ্ঠ পুত্র ইমাম হোসেন (র.)’র সেনারা। যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন ইমাম হোসেন (র.)। তাদের পরিবারের সদস্যদেরও বন্দি ও হত্যা করা হয়েছিল।
ইয়াজিদের প্রায় এক লাখ সেনার বিরুদ্ধে মাত্র ৭২ জন সেনা নিয়ে অসীম সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন ইমাম হোসেন (র.)। লড়াই করতে করতেই শহীদ হন তিনি।
তার মৃত্যুদিবস, অর্থাৎ আশুরার ৪০ দিন পর আরবি সফর মাসের ২০ তারিখ পালিত হয় আ’বাইন। কেবল শিয়া মুসলিমরাই এই ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নেন।
আ’বাইনের নিয়ম অনুসারে কারবালা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরের শহর নাজাফ থেকে শুরু হয় জমাতের যাত্রা। শিয়া মুসলিমরা পায়ে হেঁটে নাজাফ থেকে কারাবালার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সেই পদযাত্রা গিয়ে শেষ হয় কারবালায় ইমাম হোসেন (র.)’র দরগা’ বা মাজারে। সেখানে নামাজ আদায় ও বিশেষ প্রার্থনায় শেষ হয় আ’বাইন।
প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক কোটিরও অধিক মানুষ আ’বাইনে যোগদান উপলক্ষে ইরাকে যান। আ’বাইন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এবারের আ’বাইনে যোগ দিয়েছিলেন আড়াই কোটি মুসলিম, যাদের মধ্যে ভারতীয় শিয়া মুসলিমদের সংখ্যা ছিল এক লাখ।
সূত্র : এনডিটিভি