ডেস্ক রিপোর্ট

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

মিয়ানমার সংঘাত আর বাংলাদেশ সংকট

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

রাজেকুজ্জামান রতন:

মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশ কি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় পড়তে যাচ্ছে? সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ হলেও বাংলাদেশের ঘাড়ে তার দায় কতটা এসে পড়বে? এ ধরনের প্রশ্ন আর আশঙ্কার কথা আলোচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা কথা প্রচলিত আছে, অনেক কিছু পরিবর্তন করা গেলেও প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না। এ বিষয়টা শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, পাড়া প্রতিবেশীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্যক্তিগতভাবে এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া বা মহল্লায় চলে যাওয়া সম্ভব হলেও দেশের ক্ষেত্রে তা মোটেই সম্ভব নয়। প্রতিবেশীর ঘরের আগুন যেমন আশঙ্কা জাগায়, তেমনি বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী। ভারত আর মিয়ানমার। তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, তাদের কারণে যে বাংলাদেশকে সংকটে পড়তে হয় তা নিয়ে বিতর্ক নেই। মিয়ানমার কর্র্তৃক সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার বোঝা দিন দিন ভারী হয়ে উঠছে বাংলাদেশের কাঁধে। আর বর্তমান অভ্যন্তরীণ সামরিক সংঘাত রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামনে আর একটি বড় ধরনের ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। মিয়ানমারের পাঁচ প্রতিবেশী চীন, ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও লাওস সবার সঙ্গেই নানা সংকটে জড়িয়ে আছে দেশটি।

সম্পদে পূর্ণ আর অভ্যন্তরীণ জাতিগত সংঘাতে বিদীর্ণ এক দেশ মিয়ানমার। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন কায়দায় সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা যেমন দুর্বল, দুর্নীতি ও লুটপাটকেন্দ্রিক তেমনি দেশটির অর্থনীতিকে প্রায় পঙ্গু করে রেখেছে। আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় চারগুণ বড় অর্থাৎ ৬ লাখ ৭৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের চাইতে বড় মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ বা ৫ কোটি ৭৫ লাখের মতো। প্রাকৃতিক সম্পদ প্রচুর গ্যাস, তেল, কাঠ, নানা ধরনের খনিজ পাথর তো আছেই, কয়লা পাওয়ার সম্ভাবনাও বিপুল। এর সঙ্গে আছে নবায়নযোগ্য শক্তির এক বিশাল সম্ভাবনা। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও শোষণ লুণ্ঠনের কারণে যে বঞ্চনা ও দারিদ্র্য দূর হয় না, তার এক বেদনাময় দৃষ্টান্ত মিয়ানমার। সাতটি রাজ্য আর সাতটি অঞ্চল নিয়ে মিয়ানমার। জনসংখ্যার কম বেশি দুই-তৃতীয়াংশ বামার, বাকিরা ১৩৫টি স্বীকৃত এথনিক গ্রুপে বিভক্ত। এদের মধ্যে শান, কারেন, রাখাইন প্রধান হলেও তারা কেউই ১০ শতাংশের বেশি নয়। ১৯৬২ সাল থেকে দেশটি শাসন করছে সামরিক জান্তা। সব ক্ষেত্রে তাদের কর্র্তৃত্ব আর জাতিগত নিপীড়ন ও বৈষম্য অভ্যন্তরীণ সংহতি ক্রমাগত ধ্বংস করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রতিটি রাজ্যেই বিক্ষোভ, বিদ্রোহ এবং বিদ্রোহী বাহিনী আছে। তারা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িত হয়ে পড়েছে। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সাল থেকে দেশটির প্রধান ১৪টি জাতিগত গোষ্ঠীর দলগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বা তাতমাদো সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম জোরদার করে। এসব জাতিগত গোষ্ঠীর অধিকাংশই দেশটির পশ্চিম-উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবরে অপারেশন ১০২৭ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। এই তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স (থ্রি বিএইচএ)। এদের মধ্যে জনবল, সামরিক শক্তি ও কৌশলের দিক থেকে সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন হচ্ছে আরাকান আর্মি (এএ)। বাকি দুটি হচ্ছে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এদের পক্ষে জনসমর্থন বেড়ে চলেছে। কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে। সেই নির্বাচনে সাবেক স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সেনাসমর্থিত দলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে। নির্বাচনকালে সংবিধান সংশোধনের যে প্রতিশ্রুতি এনএলডি দিয়েছিল, তা সেনাবাহিনীর স্বার্থবিরোধী মনে হওয়ায় ২০২১ সালে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের জনপ্রিয় নেতা অং সান সু চিসহ শীর্ষ এনএলডি নেতাদের কারাগারে পাঠায়। ফলে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। কিন্তু এবার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ শুরু হয়, তা মিয়ানমারের ইতিহাসে অতীতে আর গড়ে ওঠেনি।

গুরুত্বপূর্ণ যে, দেশটির প্রধান ও প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী বামারদের মধ্য থেকেই প্রতিরোধ তৈরি হয়। পরবর্তী সময় এনএলডি ও নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে প্রবাসী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট গঠিত হয়। সামরিক বাহিনীকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রবাসী সরকারের সামরিক উইং ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এনডিএফ) গঠিত হয়। এনডিএফ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সাল থেকে ফেডারেল সরকার ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলে। তারা ঘোষণা করে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সরকার হটিয়ে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র তৈরি ও বেসামরিক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা তাদের উদ্দেশ্য। আলোচিত ‘থ্রি বিএইচএ’ চীন সীমান্তের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছোট শহর ও সরকারি ঘাঁটি দখল করায় চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে ছিল। মিয়ানমার জান্তার জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে, যখন তারা উত্তর শান স্টেটের কোকাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লোঙ্ককাইং দখল করে। চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান পথ ছিল এটি। লোঙ্ককাইং দখলের পরই চীন তৎপর হয়ে উঠেছে এবং তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিতে শুরু করে। শুধু ভূরাজনৈতিক নয়, বরং মিয়ানমার চীনের বড় ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র। বিশেষ করে দক্ষিণ রাখাইনের গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর থেকে চীনের দক্ষিণ-পূর্বের কুনমিং শহর পর্যন্ত বহুমুখী যোগাযোগ এবং জ¦ালানি সরবরাহ চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাখাইন অঞ্চলে যা ঘটেছে ও ঘটবে, তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়বে। বিভিন্ন সময় মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়েও এদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারেনি। আরও ৫ থেকে ৬ লাখ রোহিঙ্গা এখনো মিয়ানমারে আছে। আরাকান আর্মি যখন উত্তর রাখাইন দখলের পথে, তখন তা কি রোহিঙ্গাদের সামনে নতুন সংকট তৈরি করবে?

আরাকান আর্মির আক্রমণ যত তীব্র হচ্ছে ততই পিছু হটছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বিদ্রোহীরা ইতিমধ্যে তিনটি সেনা ব্যাটালিয়ন দখল করে নিয়েছে। সেনা সদস্য থেকে শুরু করে সীমান্তরক্ষী পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রতিদিন বাড়ছে। আরাকান আর্মি ও থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ক্রমাগত তাদের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে চলেছে। ইতিমধ্যে ভারতের অন্যতম বৃহৎ বহুমুখী যোগাযোগব্যবস্থা কালাদান প্রকল্পের অন্যতম স্থলবন্দর চিন রাজ্য সীমান্তের সন্নিকটে পেলেতওয়া দখল করার পর কালাদান নদীর দুই পারের জনপদ, আরাকান বা রাখাইনের পুরনো ঐতিহাসিক শহর মার্ক-ইউ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ফলে রাখাইনের রাজধানী সিতওয়েতে ভারতের তৈরি করা গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলও তাদের আক্রমণের মুখে রয়েছে। পরিস্থিতি যেমন তাতে এখানেও তাদের নিয়ন্ত্রণ অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে। তাহলে শিলিগুড়ি করিডরের বিকল্প হিসেবে ভারত যে কালাদান প্রকল্প হাতে নিয়েছিল, তা এখন চীনসমর্থিত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। চীনের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে এবং উত্তর রাখাইনে ভারত-চীনের ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ও উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। রাখাইনের প্রধান শক্তি আরাকান আর্মি এবং তাদের রাজনৈতিক অঙ্গ ইউনাইটেড আরাকান লিগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো নয় এবং ভারত নানাভাবে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করলেও এখনো তেমন সফল হয়নি বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। এটা এখন পরিষ্কার যে, রাখাইন পরিস্থিতির ওপর একদিকে এ অঞ্চলে চীন-ভারতের দ্বন্দ্ব এবং অন্যদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।

চীনের একটি বিষয় খেয়াল রাখার মতো। একদিকে তারা বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে, অন্যদিকে মিয়ানমারের সরকার তাতমাদোর সঙ্গেও সমান্তরাল সম্পর্ক রাখছে। এ ক্ষেত্রে ভূরাজনৈতিক বিষয় এবং চীনের বিনিয়োগ স্বার্থ প্রধান বিবেচনার বিষয়। তাদের ধারণা, রাখাইন অঞ্চল ভবিষ্যতে আরাকান আর্মি ও ইউএএলের প্রভাব বলয়ে থাকবে, তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা দরকার। দূর থেকে হলেও আমেরিকাও পিছিয়ে নেই। তারা বার্মা অ্যাক্টের মাধ্যমে ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার, পিডিএফ, চিন, কারেন, কাচিন ও কায়ান গোষ্ঠীর মাধ্যমে মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারকে চাপে ফেলে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাখাইনসহ মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ রাজনীতি, ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামরিক হিসাব-নিকাশ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা আগমনের শঙ্কা, অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত উত্তেজনা, চোরাচালান, মাদক এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। একই সঙ্গে রাখাইন তথা মিয়ানমারকে ঘিরে আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরাশক্তিগুলোর যে দ্বন্দ্ব এবং বঙ্গোপসাগরভিত্তিক নিরাপত্তা ও ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের করণীয় এখন গভীর বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও জটিল রূপ নেবে। সরকার এবং বিদ্রোহীরা কেউ এখন এ বিষয়ে কথা বলতে বা শুনতে চাইবে না। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বা চীনের মধ্যস্থতা কোনো কিছুই এখন কার্যকর হবে না। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, রোহিঙ্গা সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে। আর একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাই হোক না কেন, যুদ্ধরত ও বিবদমান পক্ষগুলো সবাই মিয়ানমারের ঐক্যবদ্ধতার পক্ষে। যদি আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও ফেডারেল রাষ্ট্রে পরিণত হয় তাহলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সহজ হবে বলে মনে হয় না। ফলে ভারত, চীন, মার্কিন প্রভাব মিয়ানমারকে যেমন অস্থির রাখবে বাংলাদেশকেও তেমনি অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে রাখবে।

লেখক: বাসদের কেন্দ্রীয় সহকারী সম্পাদক ও কলাম লেখক

শেয়ার করুন