ডেস্ক রিপোর্ট
২ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বিএনপিকে রাজপথে আগুন-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, মানুষ হত্যা—এসব না করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।
বিএনপির উদ্দেশে এই নেতা আরও বলেন, ‘রাজনীতি করেন ভালো কাজ করেন, পাপমুক্ত রাজনীতি করেন, যেটা আওয়ামী লীগ করছে। আমাদের কাছে থেকে রাজনীতির শিক্ষা নেন। যত দিন মারামারি, কাটাকাটি, জ্বালাও-পোড়াও করবেন, মানুষ হত্যা করবেন, আপনারা কখনো আর ক্ষমতার মুখ দেখতে পাবেন না।’
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে আবু আহমেদ মন্নাফী এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলার রায় উপলক্ষে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে জন্য এ কর্মসূচি দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
অবশ্য রায় ঘোষণার পর আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, ‘আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনকে মেনে চলি। অতএব আইনের যে গতি, আইন যা করবে, সেটাকে আমরা সম্মান করি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আওয়ামী লীগকে পরিচালনা করে যাচ্ছি। মামলার রায় ঘোষণা আদালতই দেবেন, এতে আমাদের প্রতিক্রিয়ার কিছু নেই।’
পবিত্র আশুরার দিন (গত ২৯ জুলাই) বিএনপির পালিত কর্মসূচির সমালোচনা করে আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, ‘বিএনপির ভাইদের বলছি ভাঙচুর বন্ধ করতে। কিন্তু দেখেন আপনারা কতগুলো অন্যায় করেছেন। আশুরা মহরমের পবিত্র মাসে কোনো হারাম কাজ করা যাবে না। রাগ-গোস্সা, মারামারি-কাটাকাটি করা যাবে না। কোনো অপরাধ করা যাবে না। এটা আল্লাহর, কোরআনের কথা। কিন্তু বিএনপির ভাইয়েরা, আপনারা তা-ই করলেন। আপনারা তো অন্যায়, গুনাহ করলেন। পাপের কাজ করলেন।’
বিএনপির উদ্দেশে আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গুনাহর কাজ করে না। আওয়ামী লীগ মানুষের সেবায় বিশ্বাস করে। মানুষের খাদেম হিসেবে কাজ করে। আওয়ামী লীগ মানুষের, দেশের ও জাতির সেবক।’
কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় রায় হয়েছে। আমরা হাইকোর্টের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ নিয়ে আমরা কিছু বলব না।
বেলা একটায় কর্মসূচি থাকলেও দেড়টার পর থেকে ছোট ছোট দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় অনেকে মিছিল-স্লোগান নিয়ে আসেন। রায় ঘোষণার আগপর্যন্ত নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নেন। পুরোটা সময় নেতা-কর্মীরা থেমে থেমে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে দক্ষিণের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাসহ কয়েক শ কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। পৌনে পাঁচটার দিকে কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা চলে যান।