ডেস্ক রিপোর্ট
২১ মে ২০২৪, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক ব্যাটারি চালিত যানবাহনের মটর-ব্যাটারি খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার,ব্যাটারি চালিত যানবাহন আটক-হয়রানির- চাঁদাবাজি বন্ধ ও লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এবং রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় আম্বরখানাস্হ সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে জমায়েত শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহিদমিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ মহানগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল এর সভাপতিত্বে ও মনজুর আহমদ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট আহ্বায়ক আবু জাফর।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি শহীদ মিয়া, ইয়াছিন আহমদ, মোহসিন আহমদ, এরশাদ মিয়া, হারুন মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক বিলাল আহমদ, রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী, বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিন্টু যাদব, জুয়েল আহমদ, অভি ইসলাম, একলাছ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, ধিনাজ আহমদ, আকবর আলি, প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে সংগ্রাম পরিষদ ব্যাটারি চালিত যানবাহনের নীতিমালা প্রণয়ন করে লাইসেন্স প্রদানের জন্য আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সরকার একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর করেনি। বক্তারা অবিলম্বে, সংগ্রাম পরিষদের সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে “প্রস্তাবিত থ্রী হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের স্ষ্ঠুু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমাল-২০২১” এর দ্রত চুড়ান্ত ও কার্যকর করা এবং এর আলোকে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের দ্রত নিবন্ধন, রুট পারমিট এবং লাইসেন্স প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর ব্যাটারি চালিত যানবাহনের হয়রানি- উচ্ছেদের গঠনা হবে অনভিপ্রেত।দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিআরটিএ কতৃক লাইসেন্স প্রদানের আগ পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত যানবাহনের হয়রানি-উচ্ছেদ বন্ধ, রেকার বিল পূর্বের মতো ৫শত টাকা করা, সিলেট মহানগর ট্রাফিক কতৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাটারি চালিত যানবাহন আটক করে ব্যাটারি -মটর খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।