ডেস্ক রিপোর্ট

২০ মার্চ ২০২৩, ১১:১৯ অপরাহ্ণ

বিস্ফোরণ-অগ্নিকান্ডে শ্রমিক নিহত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্কপ

আপডেট টাইম : মার্চ ২০, ২০২৩ ১১:১৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) যুগ্ম সমন্বয়ক বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল কাদের হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং অপর সমন্বয়ক শামীম আরা এর পরিচালনায় স্কপ কার্যালয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, আলাউদ্দিন মিয়া, শাকিল আক্তার চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহেদ, নুরুল আমিন প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্ট, ঢাকার সাইন্সল্যাব এবং ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০ জন শ্রমজীবী মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, শতাধিক মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়েছে যা নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের অধিকার কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ২০১৩ সালের রানাপ্লাজা ধ্বসেরমত ভয়াবাহ শিল্প হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়ার ১০ বছর পরেও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকা অর্জন করতে এসে জীবন হারানোর ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের জন্য আই.এল.ও কনভেনশন ১২১ অনুসারে ক্ষতিপুরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুর মিছিল যেভাবে শুরু হয়েছে তা অদ্যবধি থামেনি তার কারণ শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী কোনো মালিক বা কর্তৃপক্ষ কে শাস্তি পেতে হয়নি। মালিকদের কে সন্তুষ্ট রাখার জন্য শ্রম আইনের ক্ষতিপুরণ বিষয়ক ধারা সরকার সংশোধন করেনি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মনিটরিং প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বপালন না করেও কোনো জবাব দিহিতার মুখোমুখি হতে হয়নি। নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে দায়ি মালিকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি, আই. এল.ও কনভেনশন ১২১ এর আলোকে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ ও পুনর্বাসনে আইন সংশোধন করার দাবি জানান।

আসন্ন রোজার সময় নিত্যপণ্যের উর্দ্ধগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত এক বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টিসিবির সরবরাহকৃত পন্যের মূল্য বাড়ানো হয়েছে প্রায় আশি শতাংশ। আর সরকারের ব্যবসায়ী তোষণ নীতির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যের পাগলা ঘোড়া বাধাহীন ভাবে ছুটিয়ে চলেছে। ফলে শ্রমজীবীদের প্রকৃত আয়ের পরিমাণ অর্ধেকে নেমেছে। আসন্ন রোজা উপলক্ষে রোজায় ব্যবহার্য পন্যসমুহের দাম আর একদফা বাড়ানো হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ভাবে শ্রমিকের আয় না বাড়ায় শ্রমজীবীরা অনাহারে দিনযাপনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ, মজুতদার, মুনাফবাজ, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রমজীবিদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ, ২০ রোজার মধ্যে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করার দাবিতে আগামী ০৩ এপ্রিল ২০২৩, সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসুচী পালনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে গড়িমিশির ফলে উদ্ভুত যেকোন পরিস্থিতির দায় মালিক এবং সরকার কে বহন করতে হবে।

শেয়ার করুন