ডেস্ক রিপোর্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৩, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ বন্ধ করে দেয়া হলো। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ।
গতকালকে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার ও সরকারি দলের হামলা, আক্রমণ, লাঠিচার্জ,টিয়ার, গুলি, ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে আজকে সকাল -সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতাল পরবর্তী পরিস্থিতি ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ আজ বিকাল ৫.৩০ টায় নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি,র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান ও নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম এ কবির হাসান এই সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ দেশব্যাপী বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা আক্রমণ করেছে। শাপলা চত্বরে হেফাজতের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছিল সেই ভাবে হামলা করে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। নিজেরা সহিংসতা সৃষ্টি করে বিরোধীদলের উপর দোষ চাপিয়ে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
বিরোধীদলের আন্দোলনকে যেকোন মূল্যে দমণ করে আর একটি একতরফা নীল নকশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সরকার পতনের আন্দোলন চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপি ও সকল বিরোধী দল যুগপৎ ধারায় আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে আজকের হরতালের মত অবরোধ কর্মসূচিও সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।