ডেস্ক রিপোর্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৯ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার আদালত ৬ বার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে তারা শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এখন নির্বাচন ভণ্ডুল করতে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নিয়েছে।
রোববার (২৯অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী নয় বলেই তারা রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও সঙ্গে সংঘাতে যাব না। গায়ে পড়ে কেন সংঘাতে যাব? আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে আমাদের ওপর হামলে পড়লে পরিস্থিতি যা বলবে তাই করব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের হাতে নিরাপদ নয়। আমরা এখনো বলব, এই সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরে আসুন। ক্ষমতা পরিবর্তনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, শনিবার ও রোববারের হামলা বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত। বিএনপি অনেক দিন ধরেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে তারা তাদের রাজনীতির যে সন্ত্রাসী ধারা সেই ধারা বাস্তবায়নে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের ভয়ংকর রাজনীতির ধারা, পুরনো চেহারায় ফিরে আসার জন্য সময় নিচ্ছিল। সময় মতোই তারা তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মানে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তারা অপমান করেছে। গত দুই দিন তারা কী করেনি? বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অত্যন্ত ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলো।
কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী নয়। সুষ্ঠু স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ তারা বিনষ্ট করছে। গতকাল নৃশংস হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে আগুন এগুলোই হলো তারেক রহমানের ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, সানজিদা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।