ডেস্ক রিপোর্ট
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বায়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগকে বিতর্কিত ও অপদস্থ করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে বিএনপি। দেশকে অকার্যকর করতে, পাকিস্তান বানাতে যারা সংবিধানের উপর আঘাত করেছে তাদের আর ছাড় নয়।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করেছে, এবার আবার শুরু করেছে। ইসরায়েল যেমন গাজার ওপর হামলা করছে বিএনপিও তাই শুরু করেছে। বিচার বিভাগকে অপদস্থ করার জন্য প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। দেশকে অকার্যকর করতে, পাকিস্তান বানাতে যারা সংবিধানের উপর আঘাত করছে তাদের আর ছাড় নয়। অবরোধের মাধ্যমে আর যেন কোনো নৈরাজ্য করতে না পারে সেজন্য রাস্তায় থাকতে হবে নেতাকর্মীদের।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে ১৪ দল। সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এর বাইরে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
দেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি এতোদিন বিদেশি প্রভুর ওপর ভর করে তাদের সাহসে আন্দোলন করছে। তারা জনগণকে বিশ্বাস করে না। এবার জনগণ বিএনপির আন্দোলন-আন্দোলন খেলা শেষ করে দিয়েছে।
বিএনপির ভরসা বিদেশি প্রভু উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ওপর ভরসা করে করা আপনাদের আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে। আহ্বান জানাবো- এখনো সময় আছে আন্দোলন-আন্দোলন খেলা বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন। আপনাদের আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই।
সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন এবং সেই সঙ্গে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভেবেছিল বিএনপি নামক সন্ত্রাসী দলটি অতীতে যেভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে হয়ত সহিংসতার পথে পা বাড়াবে না। কিন্তু জনগণকে ভুল প্রমাণ করেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৈরি দল বিএনপি। এরা পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। ২৮ তারিখে আবার সহিংসতা করে প্রমাণ করেছে এরা দেশে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বাইরে নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে একাত্তরের মানবতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী; যারা একাত্তরে মানুষের বাড়ি ঘরে নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ করেছিল, মা-বোনদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল তারা যখনি যোগ দিয়েছে বিএনপি একই চরিত্রে গিয়েছে। আমরা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই— দেশের মানুষ শান্তি উন্নয়ন-অগ্রগতি দেখতে চায়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।