ডেস্ক রিপোর্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বহুতল ভবন নির্মান করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং রেশনের দাবিতে রংপুরে ভূমিহীনদের সমাবেশ।
গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,সোমবার বিকাল ৩টায় বহুতল ভবন ভূমিহীনদের পুনর্বাসন- চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম কমানো এবং সকল গরীব মানুষের জন্য আর্মিরেটে রেশন চালুর দাবিতে এবং গঙ্গাচড়ার গজঘন্টা, সালাপাক এবং গাউসিয়া এলাকার তিস্তা পাড়ের তিন ফসলী আবাদী জমি বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক দখলের প্রতিবাদে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠনের উদ্যোগে ভূমিহীন-গৃহহীন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশে সংগঠনের সদস্য হাবলু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, এসপিজিআরসির জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম মুন্না, ভূমিহীন সংগঠক আনোয়ারা বেগম, বিউটি সুলতানা, লাভলী বেগম প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণ দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের পুনর্বাসনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। গত সরকার দেশকে ভূমিহীন শূন্য অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা বাস্তবায়ন করেনি।কিন্তু আবাসনের অধিকার প্রত্যেকটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার।এ অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং সরকারের।ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব লড়াই,আত্মত্যাগের দ্বারা ফ্যাসিবাদী সরকারের উচ্ছেদ হয়েছে। এ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার দাবি ঘোষিত হয়েছে। আন্দোলনকারীরা যে সরকারকে বসিয়েছে সেই সরকারের দায়িত্ব বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নেয়া। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণ।যাদের শ্রমে অর্থনীতির চাকা চলে, যাদের শ্রমে ছাড়া সবকিছু স্থবির হয়ে যায় তারা বসবাস করে রেল লাইনের ধারে, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশনে।আর বিভিন্ন সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা ধনী লোকেরা অবৈধভাবে সরকারী খাস জমি দখল করে ভোগ করছে।তাই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মজুতদার,কালোবাজারী, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বেপরোয়া দৌরাত্ম্যের কারণে বাজারে প্রতিটি পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেশি।এসব সিন্ডিকেট কালোবাজারীদের দমন করে চাল,ডাল,তেলসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্য গরীব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।এছাড়া প্রত্যেকটা গরীর শ্রমজীবি মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম ব্যবস্থা হিসেবে আর্মি পুলিশের রেটে রেশন দিতে হবে।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগিতায় বেক্সিমকো, এস আলম, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন গ্রুপ বন,পাহাড়,আবাদী জমি,নদীসহ দেশের সকল সম্পদ লুট করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপ এই লুটপাটের উদ্দেশ্যে কোম্পানি করার কথা বলে তিস্তা পাড়ের গজঘন্টা, সালাপাক, গাউসিয়া অঞ্চলের শত শত একর তিন ফসলী আবাদী আত্মসাতের চেষ্টা করছে।এবিষয়ে সরকারকে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভূমিহীন সমাবেশ থেকে উপরোক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।