ডেস্ক রিপোর্ট

১৯ নভেম্বর ২০২৩, ৭:৫০ অপরাহ্ণ

নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বামজোটের সমাবেশ

আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৯, ২০২৩ ৭:৫০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হরতালে বামজোট নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারী পুলিশের বিচার ও শাস্তি চাই একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে

নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে শাস্তিপূর্ণ হরতালে বামজোট নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারী পুলিশের বিচার ও শাস্তি, একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ বিকাল ৪ টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশগুলোতে বক্তব্য দেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাস, কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্ত্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাসদ জেলা কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ,
বেলায়েত হোসেন, কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সম্পাদক ম-লীর সদস্য আব্দুল হাই শরীফ, দুলাল সাহা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে ১৬ নভেম্বর বামজোটের সারাদেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে জোটের কর্মসূচিতে সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে বামজোটের নেতাকর্মীরা সকাল ৬ টায় মিছিল শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ করে। ৬.৪০ টায় আলী আহম্মদ
চুনকা পাঠাগারের সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় পুলিশ ৫/৬টা গাড়ীসহ নেতাকর্মীদের ঘেরাও করে বেধরক লাঠিপেটা করে। কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলামের হাত ভেঙ্গে দেয়। আহত হয় কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সদস্যসচিব শিবনাথ চক্রবর্ত্তী, বাসদ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লবসহ ২০ জন নেতাকর্মী। সরকার ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা করছে। সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন থেকে মুক্তি চায়। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ২০১৮ সালে গভীর রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের বিরুদ্ধে অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তৈরি করা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একতরফা ভোট পরিচালনা করে এবং পুলিশী সন্ত্রাস চালিয়ে নিজেদের বিজয়ী করার পরিকল্পনা করেছে। সকল রাজনৈতিক শক্তি রাজপথে নেমে এসেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের জন্য। জনগণের প্রতিরোধের মুখেই এই দুঃশাসনের অবসান হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে বর্তমান আওয়ামী সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ, নির্বাচনী তফসিল বাতিল করতে হবে, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

শেয়ার করুন