ডেস্ক রিপোর্ট

২ অক্টোবর ২০২৪, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

দুর্গাপূজা ঘিরে সারাদেশে মাঠ প্রশাসনে ৮ নির্দেশনা

আপডেট টাইম : অক্টোবর ২, ২০২৪ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে বুধবার (২ অক্টোবর) এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

স্মারকে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-
(ক) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‍্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

(খ) যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

(গ) শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।

দুর্গাপূজা, ধর্ম, উৎসব, বাংলাদেশ, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়দুর্গাপূজা ঘিরে সারাদেশে মাঠ প্রশাসনে ৮ নির্দেশনা

(ঘ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

(ঙ) সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ০৩ জন এবং রাতে ০৪ জন) নিয়োজিত করতে হবে।

(চ) প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

(ছ) দুর্গাপূজা উপলক্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র‍্যাব এবং অন্য বাহিনীগুলোর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে।

(জ) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।

শেয়ার করুন