ডেস্ক রিপোর্ট

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:০৩ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ ১৩ বছর জাতীয় জনশুমারির উদ্যোগ নিলো ভারত

আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ ৫:০৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ ১৩ বছর জাতীয় জনশুমারির উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এখনও শুমারি শুরুর দিন-তারিখ নির্ধারিত হয়নি, দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন—শিগগিরই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শুমারির দিন-তারিখ ঘোষণা করবে।

“দেশজুড়ে জনশুমারি শুরু হচ্ছে। আমরা খুব শিগগিরই শুমারি শুরুর দিন-তারিখ ঘোষণা করব। শুমারির পর প্রাপ্ত ফলাফলও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে,” আজ মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত, ভারতে প্রথম জনশুমারি হয়েছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ১৮৮১ সালে। তারপর থেকে প্রতি ১০ বছর পর পর দেশটিতে জনসংখ্যার গণনা চলে আসছে। সেই অনুযায়ী ২০২১ সালে দেশটিতে শুমারি হওয়ার কথা ছিল।

তবে ভারতের জনসংখ্যা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক তথ্য যে একেবারে নেই— এমন নয়। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল বৈশ্বিক জনসংখ্যা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয়, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ এবং চীনকে টপকে এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের জনসংখ্যা সে সময় ছিল ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ।

তারপর ২০২৪ সালের ১২ জুলাই ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয়, আগামী আরও অন্তত একশ বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের রেকর্ড ধরে রাখবে ভারত।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আম আদমি পার্টির (আপ) নীতি নির্ধারণী পরিষদের নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতীশির নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে দলের নেতারা তার প্রতি সমর্থন জানান। আম আদমি পার্টির বিধায়কদের বৈঠকে দলটির নেতা দিলীপ পান্ডে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতীশির নাম প্রস্তাব করেন। এ সময় দলের সদস্যরা সমর্থন জানানোয় এতে রাজি হয়ে যান অতীশি। পরে দলটির নতুন নেতা নির্বাচিত করা হয় তাকে।

বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন অতীশি। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন।

এর আগে, গত রোববার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দিয়ে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, দু’দিন পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৬ মাস কারাগারে ছিলেন কেজরিওয়াল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী। কারামুক্তির দু’দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

পরে রোববার দুপুরে দলীয় বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যতদিন না জনতার রায় পাচ্ছি, ততদিন আমি এই আসনে আর ফিরব না। কয়েক মাস পরেই দিল্লিতে ভোট রয়েছে। আদালতে আমি বিচার পেয়েছি। এ বার জনতার আদালতে বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমি। মানুষ যে দিন চাইবে, সে দিনই আমি আবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরব।”

একইসঙ্গে দিল্লিবাসীর উদ্দেশেও কেজরিওয়ালের অনুরোধ, যদি মানুষ তাকে নির্দোষ বলে মনে করেন, যদি মানুষ ভাবেন তিনি দিল্লির জন্য কাজ করেছেন, তবে তাকে যেন পুনরায় ভোট দেওয়া হয়।

দিল্লির বিধানসভার মেয়াদ রয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। অতীশি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন। দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের দাবি, আগামী নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের ভোটের সঙ্গেই দিল্লিতে নির্বাচন আয়োজন করা হোক। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে ভোটের আগে পর্যন্ত যেটুকু সময় পাবেন, ওই সময়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন তিনি।

 

শেয়ার করুন