ডেস্ক রিপোর্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:২৭ অপরাহ্ণ
রাজেকুজ্জামান রতন:
বিজয়ের উচ্ছ্বাস কমে এসেছে। এখন চলছে দেশটাকে কী অবস্থায় রেখে গেছে অথবা কেমন অবস্থায় দেশটাকে পাওয়া গেছে তা নিয়ে আলোচনা। ভাঙনের পরই আসে পুনর্গঠনের দায়। তখনই প্রয়োজন হয়, কোথা থেকে শুরু করতে হবে সেটা নির্ধারণ করা। গত ১৫ বছরের শাসনকালে কত জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে তার অনুসন্ধান চলছে। রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গ আইন, বিচার ও প্রশাসনে কী পরিমাণ নীতিবহির্ভূত কাজ হয়েছে, তা যত উদঘাটিত হচ্ছে ততই বিস্মিত হচ্ছে জনগণ। অনেকে বলছেন, এও কী সম্ভব! জবাবদিহি না থাকলে ব্যক্তি কত বড় দুর্বৃত্ত হতে পারে, প্রশাসন কত দুর্নীতির আখড়া ও দায়হীন হতে পারে, বিচার বিভাগ কতখানি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে তার নজির দেখেছে মানুষ।
অর্থনৈতিক খাত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সবাই মনে করছেন। ছাত্র, শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার তার দুঃশাসনের বিপরীতে উন্নয়নের একটা গমক তৈরি করেছিল। এই উন্নয়নের অর্থ এসেছে কোথা থেকে এবং ব্যয় হয়েছে কতটুকু, তা গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে। গত ১৫ বছরেরও বেশি সময়ে অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল অতীত সরকার। যেকোনো দেশের সরকারের জন্য ঋণের উৎস প্রধানত ২টি। একটি অভ্যন্তরীণ ও অন্যটি বৈদেশিক ঋণ। অভ্যন্তরীণ ঋণ বেশি নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ নিতে পারে না আর বৈদেশিক ঋণ বেশি হলে নানা ধরনের শর্তের জালে আটকা পড়তে হয় দেশকে। তাই ঋণ সেটা অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক যাই হোক না কেন, দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বেই। ফলে দেশ এবং জনগণের কথা ভাবলে সতর্কভাবেই ঋণ নেওয়া উচিত। বিগত বছরগুলোয় আওয়ামী লীগ সরকার যে ঋণ করেছে, তার বড় একটা অংশ এসেছে দেশীয় উৎস থেকে। দেশীয় উৎসের মধ্যে বেশিরভাগ ঋণ করা হয়েছে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পদত্যাগের সময় শেখ হাসিনার সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। এ ঋণ পরিশোধের দায় বর্তেছে বর্তমানে ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। শুধু যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ঋণের দায় বহন করতে হবে তা নয়, পরবর্তীকালে যেসব সরকার আসবে, তাদেরও এ দায় বহন করতে হবে। সরকার আসবে সরকার যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঋণের এই বোঝা দেশের জনগণকেই বহন করতে হবে। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে বলা হতো, ভারতের কৃষকরা হলো সেই হতভাগা, যারা ঋণের মধ্যেই জন্মে এবং মরে।
সরল হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আজ যে শিশুর জন্ম হবে, তার মাথার ওপর থাকবে কমপক্ষে ১ লাখ টাকার ঋণের বোঝা। বেঁচে থাকলে ঋণের বোঝা টেনে চলতে হবে এবং মৃত্যুতেও এ ঋণের দায় থেকে নিষ্কৃতি মিলবে না। একটি জাতির জন্য এ রকম ঋণের বোঝা কতটা অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে, তা কি সরকার ভাববে না? ব্যাংক থেকে এবং বিদেশ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে এই দায়িত্বশীলতার প্রশ্নটাই এখন বিতর্ক তৈরি করছে। দেশ পরিচালনা করতে, নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে টাকা লাগবে। টাকার পুরোটা দেশের অভ্যন্তর থেকে সংগ্রহ করতে না পারলে, ঋণ নিতেই হবে। কিন্তু কী শর্তে এবং কী পরিমাণ সর্বমোট ঋণ নেওয়া যেতে পারে, সে ব্যাপারে সঠিক বিশ্লেষণ জরুরি। তা না হলে অপ্রয়োজনীয় ঋণ এবং ঋণের কঠিন শর্ত অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে। উন্নয়নের মোহ তৈরি আর লুণ্ঠনের মহোৎসবের ফলে দেশীয় এবং বিদেশি সব উৎস থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিয়েছে বিগত সরকার। অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশ মনে করেন, দেশের অভ্যন্তর থেকে সরকারের ঋণ কম নেওয়া উচিত। তারা বিদেশি মুদ্রায় ঋণ করাকে ভালো মনে করেন। কিন্তু যদি বিচার-বিবেচনা না করে বিদেশি ঋণ না নেওয়া হয় তাহলে যে তা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, পৃথিবীর বহু দেশের মতো বাংলাদেশেও তার প্রমাণ আছে। ১৫ বছরে যেসব বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে তা তেমন যাচাই-বাছাই করা হয়নি। ঋণের সুদ এবং আসল শোধ দিতে বাজেটের বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে। শর্ত মানতে গিয়ে গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে বারবার।
উন্নয়ন না গণতন্ত্র এই আওয়াজ তোলা হয়েছিল আর উন্নয়নের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে। এটা করতে গিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কঠিন শর্তেও বিদেশি ঋণ নিয়েছে। যথার্থ প্রয়োজন নিরূপণ না করে ও বাছ-বিচার না করে ঋণ নেওয়ার ফলে সরকারের দায়-দেনা বেড়েছে বিপুল। অর্থনীতিতেও সহ্য ক্ষমতা বিবেচনা করতে হয়। এই বিবেচনায় ঋণ পরিস্থিতি প্রায় সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। ইতিমধ্যে অর্থ বিভাগ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ঋণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ঋণের স্থিতি ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ঋণের হিসাব হালনাগাদ করা হয় প্রতি ৩ মাস অন্তর। সেই হিসাবে মার্চ, জুন শেষে ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তর থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ হবে ১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা আর বিদেশি ঋণের পরিমাণ হবে ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৯০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১১৮ টাকা দরে হিসাব করলে তা ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা দাঁড়ায়। কিন্তু বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে প্রতি ডলারের মূল্য ১২১ টাকা। সুতরাং দেশীয় মুদ্রার মূল্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৮ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য।
টাকার অঙ্কে যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে দেখা যায় যে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের স্থিতি দেশের অতীতের ৩টি বড় বাজেটের সমান। বিপুল পরিমাণ ঋণ শোধ এবং সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে বাজেটের ওপর ভীষণ চাপ পড়বে। বড় বাজেটের আত্মপ্রসাদ লাভের মানসিকতা গড়ে তোলা হয়েছে অতীতের বছরগুলোতে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে আগামী বাজেটের সময় আরও ঋণ করতে হবে, অর্থাৎ বাজেটে ঋণ সহায়তা প্রয়োজন হবে। এসব ঋণ চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে। ঋণ নেওয়া, ঋণের সুদ দেওয়া, আসল পরিশোধ করা, আবার ঋণ নেওয়া বিষয়টি এমনভাবে চলতে চলতে ঋণের ফাঁদে পড়ে যায় দেশ। ফলে সাবধান থাকতে হয় যেন ঋণ গ্রহণ অর্থনৈতিক সক্ষমতার বাইরে চলে না যায়। যদি চলে যায় তাহলে একটা দেশও ঋণখেলাপি হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থাকে ঋণের সংকট বা ডেট ক্রাইসিস বলা হয়। মেক্সিকোসহ বেশ কিছু দেশ এ রকম ঋণ সংকটে পড়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কাতেও এই সংকট দেখা গেছে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ঋণ শোধ করতে হবে। আবার ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার দেশি ঋণের মধ্যে শুধু ব্যাংকব্যবস্থা থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি ছিল ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। বাকি ঋণ নেওয়া হয়েছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে। সঞ্চয়পত্র ও সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলের বিপরীতেও আছে বড় অঙ্কের ঋণ। এত ঋণ, শোধ হবে কত দিনে আর কেইবা তা শোধ করবে?
অর্থ বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরেও দেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এরপর ৬ বছরের মধ্যে এ ঋণ বেড়ে ৩ গুণ হয়েছে। এটা জানার কথা যে, ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার যখন লাগামহীনভাবে ঋণ করে, তখন বেসরকারি খাতের জন্য ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে দেশীয় ছোট মাঝারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য ঋণ পায় না। অথচ কর্মসংস্থানের বড় অংশ সৃষ্টি করে ছোট ও মাঝারি খাত।
আওয়ামী লীগের প্রায় ১৫ বছরে গড়ে ওঠা কয়েকটি অলিগার্ক গোষ্ঠী ফুলে-ফেঁপে বিশাল আকার ধারণ করেছিল। এরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ করেছিল পরিশোধ না করার জন্য। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এরা ব্যাংক দখল করেছিল ব্যাংকগুলোকে পঙ্গু করে ফেলার জন্য। প্রভাব খাটিয়ে রি-শিডিউল করার নামে এমন সব নিয়ম চালু করেছিল, যার ফলে ঋণ পরিশোধ না করেও ঋণখেলাপি হতে হয়নি। কিন্তু এর ফলে বেশকিছু ব্যাংক নিরাময় অযোগ্য রোগে রুগ্্ণ হয়ে পড়ে। পদ্মা ব্যাংকের মতো কিছু ব্যাংক তৈরি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের আমানত লুটপাট করার জন্য। কিছু ব্যাংকের অ্যাডভান্স টু ডিপোজিট অনুপাত এতটাই নেতিবাচক অবস্থায় পড়েছে যে, আমানতকারীদের চেকের অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে তারা। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, তাদের অন্য ব্যাংক বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি যখন নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন দেশি-বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সে সময় দেশি ঋণের তুলনায় বিদেশি ঋণের স্থিতি বেশি ছিল। অর্থাৎ একদিকে মোট ঋণ পরিমাণ কম এবং অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ ঋণের তুলনায় বিদেশি ঋণ বেশি। ফলে ঋণ পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু যখন ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলো, তখন দেখা যাচ্ছে গোটা ঋণ পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে বদলে গেছে। ঋণের পরিমাণ ৬ গুণ বেড়েছে, এমনকি বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ নিয়েও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেই, কিন্তু বিপুল ঋণ নেওয়ার ফলে আসল ও সুদ পরিশোধের চাপ এখন বর্তমান সরকারের ঘাড়ে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে দেশি ঋণের সুদই ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এ তো গেল সুদের কথা, আসলের হিসাব করলে বোঝা যাবে পরিস্থিতি কত সঙ্গিন।
আওয়ামী লীগ সরকার যে ঋণ করেছে, তার সিংহভাগ ব্যয় করেছে বড় বড় মেগা প্রকল্পে। মেগা প্রকল্প, মেগা দুর্নীতি, মেগা লুটপাট আর মেগা ঋণের বোঝা বইবে এখন জনগণ। সাধারণত মেগা বিনিয়োগ থেকে রিটার্ন বা আয় আসে ধীরগতিতে। সেই বিবেচনা তো ছিলই না বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে অস্বাভাবিক বেশি। প্রকল্পগুলোর ব্যয় অবিশ্বাস্যভাবে বেশি হওয়ার ফলে এগুলো অর্থনৈতিকভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। যেমন স্বপ্নের মেট্রোরেলের খরচ উঠতে সময় লাগবে ৪৫ বছর। যে রুটে রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে গাড়ি চলে কম। এসব প্রকল্পের দায় নেবে কে? শেষ পর্যন্ত জনগণের ঘাড় ছাড়া এই ভার বহনের তো আর কোনো পথ নেই।
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কারণ উদঘাটিত, দুর্নীতিবাজরাও চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য মূলত দায়ী লুণ্ঠনমূলক ব্যবস্থা। তাই দরকার দুর্নীতি বন্ধ করার পদ্ধতি। ব্যবস্থা বহাল রেখে ব্যক্তির বদল করে সমস্যা কি সমাধান করা যাবে? ব্যক্তির ক্যারিসমা নয়, জাদুমন্ত্র নয় সর্বস্তরে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করে, দুর্নীতি বন্ধ ও দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে দেশকে রক্ষা করার বিকল্প নেই।
লেখক: সহকারি সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও কলাম লেখক