ডেস্ক রিপোর্ট

১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

তফসিল এবং তারপর

আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৯, ২০২৩ ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

রাজেকুজ্জামান রতন:

পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সব প্রশ্নে একমত হওয়া সম্ভব নয় এবং তা কেউ প্রত্যাশাও করেন না। কিন্তু কিছু বিষয় থাকে সেখানে একমত হওয়া প্রয়োজন। রাজনীতিকে খেলার সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করছেন ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা এবং ‘খেলা হবে’ কথাটিকে বহুভাবে ব্যবহার করেছেন। আর আন্দোলনকে খেলার সঙ্গে তুলনা করার চল তো বহুদিনের। এখন সেমিফাইনাল, এরপর হবে ফাইনাল এ রকম কথা জনগণ শুনেছে বহুবার। কিন্তু খেলা হতে গেলেও তো কখন খেলা হবে সে বিষয়ে একমত হতে হয় না হলে একপক্ষ যদি খেলতে না আসে, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ওয়াকওভার পেয়ে বিজয়ী হবে অপরপক্ষ। তাতে নিয়ম রক্ষা হয় কিন্তু খেলার আনন্দ আর বিজয়ের গৌরব কোনোটাই থাকে না। কারণ খেলাটা শুধু জয়-পরাজয়ের নয়, আনন্দেরও। রাজনীতিকে খেলার সঙ্গে তুলনা করাটা খুবই নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তারপরও যারা একে খেলা বানিয়ে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছেন, তারাও খেলার আনন্দ ও উত্তেজনার চাইতে খেলা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বেশি।

নির্বাচনকে নিয়ে উত্তেজনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের জন্য বহুপাক্ষিক অংশগ্রহণ, আয়োজন ও সমঝোতা প্রয়োজন হয়। নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ, ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যাবে রাজনৈতিক দল, নির্বাচনের আগে-পরে শৃঙ্খলা রক্ষা করবে পুলিশ ও প্রশাসন আর নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের প্রচারণার জন্য প্রয়োজন ভয়হীন সুষ্ঠু পরিবেশ, যাতে ভোটাররা ভোটের আগে এবং ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, ভোটের পরও নিরাপদ থাকতে পারেন। রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের প্রত্যাশা থাকে তারা যেন সুষ্ঠু পরিবেশ পান, সমান সুযোগ পান, নির্বাচনী কর্র্তৃপক্ষ যেন নিরপেক্ষ আচরণ করেন, পুলিশ এবং প্রশাসন যেন পক্ষপাতিত্ব না করেন এক কথায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেন সৃষ্টি করা হয়। নির্বাচন কমিশনের দরকার সংবিধানসম্মত ক্ষমতা এবং তা ব্যবহার করার অধিকার। কমিশন চাইলে রাষ্ট্রীয় দপ্তরগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন মাফিক সহায়তা করেন। কিন্তু এসব প্রয়োজন এবং প্রত্যাশা চাপা পরে যায় ক্ষমতাসীন দলের চাওয়ার কাছে। ক্ষমতাসীন দল যদি চান তারা আবার জিতবেন তাহলে রাষ্ট্রের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে নির্বাচনে জিতে আসবেন। অতীত ইতিহাস বলে এমন ঘটনা হয়েছে, একবার-দুবার নয়, বারবার।

বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। সে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছিল। দলীয় সরকারের ভূমিকা নির্বাচনকালে তখন নিরপেক্ষ ছিল না এবং তার স্মৃতিটাও খুব একটা সুখকর নয়। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। সেই নির্বাচনেও সদ্য গড়ে ওঠা দল সংবিধান সংশোধনের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন নিয়ে বিপুল বিজয় অর্জন করেছে। তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। তখনো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতদের সহায়তায় ক্ষমতায় থেকে গড়ে ওঠা দল সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন হাতে রেখে বাকিগুলো বণ্টন করে দিয়েছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। একই ঘটনা ঘটেছে ১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে। ফলে এটা পরিষ্কার যে, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে কেউ হারেনি এবং ক্ষমতাসীনদের বিপরীতে যত জনপ্রিয়তা নিয়ে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক না কেন, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার মতো আসন নিয়ে নির্বাচনে জিততে পারেনি।

অভিজ্ঞতা মানুষকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। সমাজে সে কারণেই অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নেওয়ার প্রচলন আছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতা বলে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। কারণ প্রশাসন সরকারের প্রতি আজ্ঞাবহ থাকে, পুলিশ বিরোধীদের ওপর খড়্্গহস্ত হয়ে থাকে, ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন তো দূরের কথা, স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, প্রচারণা চালানো এবং প্রত্যাশিত ফল অর্জন সম্ভব হয় না, জনমত যাচাই হয় না, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয় মাত্র। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান প্রবর্তিত হওয়ার পর নির্বাচনী রাজনীতিতে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছিল তারাই ক্ষমতায় এসে এই ব্যবস্থা বাতিল করার উদ্যোগ-আয়োজন করার পর পরিস্থিতি পুনরায় আগের মতো, অর্থাৎ যথা পূর্বং তথা পরং হয়ে গেল। যার ফলাফল দেখা গেল ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে। ফলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের দাবি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে উঠতে থাকে। আর অতীতের মতোই ক্ষমতাসীন দলের কাছে এই দাবি প্রত্যাখ্যাত হতে থাকে।

অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন তাই ততটা অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারেনি। দমনপীড়ন, নানা উত্তেজনাকর ও ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে থাকে এই আন্দোলনে। সবশেষে গত ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন দলের পাল্টাপাল্টি মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই হয়েছে। সংঘর্ষ দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে না হলেও উত্তেজনা দুই দলেই ছিল। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তাদের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু মূলত সংঘাত সংঘর্ষ ঘটে পুলিশের সঙ্গে। ২৮ অক্টোবর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও যুবদল কর্মী নিহত হন। এরপর শুরু হয় পুলিশি মামলা এবং গ্রেপ্তার। পুলিশ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে তিন ডজনেরও বেশি মামলা দেয় এবং তাদের গ্রেপ্তার শুরু করে। দলটির মহাসচিবসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এসব কিছুকে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া মনে হলেও ‘গায়েবি’ মামলা দায়েরসহ নানারকম আইনি প্রক্রিয়ায় বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন-হয়রানির বিষয়টি বিবেচনায় রাখলে দেখা যাবে বিষয়টি এত সহজ নয়, সরল তো নয়ই। এসব ঘটনার কার্যকারণ কী, ফলাফল কী হতে পারে আর এসব ঘটনার সুফল কার পক্ষে যাবে তা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক নতুন জটিলতার মুখে পড়েছে।

এই জটিল ও সংশয়মূলক পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দেশ এখন নির্বাচন সময়ে আছে এবং ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি ২০২৪ সকাল ৮টা পর্যন্ত। তফসিল তো ঘোষিত হলো, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই গেল, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কারা?

প্রধান নির্বাচন কমিশনার যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করছিলেন তখন নির্বাচন কমিশন ভবন ঘিরে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে। এ থেকে কিছুটা অনুমান করা যায় নির্বাচন কতটা উৎসবমুখর আর কতখানি আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আতঙ্ক, আশঙ্কা আর সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ দলগুলো স্বাগত জানিয়েছে। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে নিবন্ধনপ্রাপ্ত তিনটি দল। সব মিলে ১৫টি দল ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে। তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে ১৭টি রাজনৈতিক দল এবং ১২টি দল এখনো তাদের অবস্থান জানায়নি। রাজনীতি-সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এখন শুরু হবে ভয় এবং প্রলোভনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ফুল ফোটার কথা বলেছেন। কোন ফুল যে কোন মালীর যত্নে ফুটবে এবং কোন ফুলে যে কোন দেবতা তুষ্ট হবেন তা দেখা যাবে সহসাই। অতীতে সরকারি প্রশ্রয়ে কিংস পার্টি গড়ে তোলার কথা জনগণ ভুলে যায়নি। তারা কিছু সময়ের জন্য ফুটে তাদের কর্ম সম্পাদন করে ঝরে গেছে। বেশির ভাগই বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে কিন্তু সুবিধা নেওয়ার সংস্কৃতিটা স্থায়ী করে দিয়ে গেছে। যা এখন রাজনীতিতে এক অমোচনীয় কালির দাগের মতো।

নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে রাজনৈতিক দলে মতভেদের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি এও আশঙ্কা করেন যে, মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টি হলে তা থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন! কিন্তু তা নিরসনে আকাক্সিক্ষত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন কি? ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণার পর বিপরীতমুখী চিত্র দেখা গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে।

নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে দেখা গেছে দুই বিপরীত চিত্র। ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে নেতাকর্মীদের ভিড়ে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুখর। সেখানে আনন্দ উচ্ছ্বাস এবং খাবার বিতরণ হয়েছে। সারা দেশে দলীয় প্রতীক নিয়ে স্লোগান এবং মিছিল হয়েছে। আর অন্যদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে অন্যতম প্রধান বিরোধী দলের কার্যালয়ে তালাবদ্ধ। সেখানে কোনো নেতাকর্মী নেই, আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি। তাদের দলের নেতারা কার্যালয়ে যাবেন কীভাবে? গেলেই যদি গ্রেপ্তার হয়ে যান এই আতঙ্কে আছেন তারা। নির্বাচন নিয়ে এক পক্ষে উল্লাস, অন্যপক্ষে আতঙ্ক এই দুপক্ষকে নিয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে? ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের সংঘাতের পর দীর্ঘদিনের সহিংসতা, এক-এগারোর স্মৃতি এবং ২০১৪ সালে ব্যাপক সহিংসতার পর ৫ জানুয়ারির প্রায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার স্মৃতি তো মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। এসব তিক্ত ঘটনা রাজনীতিতে যে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খোঁজা দরকার। সে কারণেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটা স্থায়ী পদ্ধতি প্রয়োজন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ, সমঝোতা ও সম্মতি গ্রহণ করা যায়নি। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্র্তৃক দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষিত হয়েছে। অতীতের মতো নির্বাচন যদি হয়ে যায় তাহলে বৈধ নির্বাচনের নামে এটা কি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? যে কোনো মূল্যে নির্বাচন হবেই অথবা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে, পরস্পরবিরোধী এই হুঙ্কার শুনে ভোটারদের আতঙ্ক বৃদ্ধি ছাড়া আর অন্য কোনো কিছু কি আশা করা যায়? নির্বাচনের আগে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নির্বাচন বর্জনের, এর ফলে বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণাকারী দলের মর্যাদা কি বাড়বে? নাকি ক্ষমতার জন্য সব বৈধ এই মানসিকতা নিয়ে জিতে যাওয়ার অহমিকায় তারা দেশ শাসন করবেন? যে কোনোভাবে জিতে গেলে যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকার প্রবণতা তৈরি হয়। কিন্তু এর ফলে রাজনীতিতে যে ক্ষত এবং জনজীবনের যে দুর্ভোগ নেমে আসবে তার নিরাময় হবে কীভাবে? ভবিষ্যতের কথা না ভেবে এবং নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ এটা জানা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচন সময়মতো হবে আর গণতন্ত্র অধরাই থেকে যাবে।

লেখক: রাজনৈতিক সংগঠক ও কলাম লেখক

শেয়ার করুন