ডেস্ক রিপোর্ট

৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০১ অপরাহ্ণ

ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার নেতৃত্বে সঞ্জয়-বুশরা

আপডেট টাইম : নভেম্বর ৩, ২০২৩ ১১:০১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার একাদশ কমিটি পরিচিত সভা ও র‌্যালী আজ ৩রা নভেম্বর’২৩ বিকেল ৩:০০টায় অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত কমিটি পরিচিতি সভার পূর্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

সংগঠন নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নোশিন তাসনিমের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা সালমান সিদ্দিকী, একাদশ কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক সুমিত কান্তি দাস পিনাক, সদস্য সচিব বুশরা সুহাইল ও চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক অধির বাউরী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “ হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা জ্ঞানভান্ডার যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেই প্রক্রিয়া সঞ্চারিত হয় সেই শিক্ষার অধিকার থেকে আজকে শাসক গোষ্ঠি বঞ্চিত করছে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ কিংবা আসন সংকোচন এরকম নিত্যনতুন নীতির মধ্য দিয়ে একদিকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে অন্যদিকে নৈতিকতা, সংস্কৃতি ও মনুষ্যত্বহীন একটা প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাইছে। ফলে আজকের দিনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শিক্ষা, নৈতিকতা, মনুষ্যত্ব রক্ষার লড়াই যেমন একদিকে করছে তার সাথে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার সংগ্রাম করছে।

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার সংকট ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন একই সুতোয় বাঁধা। তারই ধারাবাহিকতায় “জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১” প্রণয়ন করা হয়েছে যেখানে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের কোন ধরনের মতামত না নিয়ে এই শিক্ষাক্রম সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে আসবে। সেখানে বিজ্ঞান শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়ের সংকোচনের মধ্য দিয়ে মালিকদের স্বার্থে একদল প্রযুক্তি শ্রমিক তৈরি করার পায়তারা হচ্ছে। অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র সমস্যা সংকটে জর্জরিত। সেখানে আবাসন, পরিবহন থেকে শুরু করে শিক্ষক সংকট, ক্লাস রুমের সংকসহ নানা সংকটে সাধারণ ছাত্রদের শিক্ষা জীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আর তার সাথে সরকারের শিক্ষা বানিজ্যিকীকরণ নীতির ফলে বেতন, ভর্তি ফী সহ শিক্ষা উপকরণের ম‚ল্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাগালের বাহিরে।

অন্যদিকে, দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটাধিকারের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের মানবিক অধিকার সরকার যেভাবে গলাটিপে হত্যা করছে ঠিক তেমনি ভাবে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসগুলোতে বিরোধী মতের উপর চরম দমনপীড়ন নামিয়ে নিয়ে এসেছে। গত একদশকে আবরার ফাহাদের মতো অসখ্য সাধারণ ছাত্রের হত্যা, গেস্ট রুমে নির্যাতন, ছাত্রীদের বিবস্ত্র করার মতো উদাহরণ তৈরি করেছে। এমনকি কোন ক্যাম্পাসে নূন্যতম ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নজিরও নেই। নিজেদের ক্ষমতা সুরক্ষিত করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি সংঘাতমত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি নির্দলীয় তদারকি সরকারের দাবিকে উপেক্ষা করে আবারো সাজানো নির্বাচনের পথে হাটছে। আবার তাদের সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে সম্পদের পাচার যেমন বাড়ছে,তেমনি বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ রকম পরিস্থিতি ছাত্র সমাজ নির্বিঘেœ বসে থাকতে পারে না। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আগামী দিনে শিক্ষার অধিকার আদায় ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়।”

সভার শেষাংশে কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী নবগঠিত ৯সদস্য বিশিষ্ট একাদশ নগর কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন।
৯সদস্য বিশিষ্ট কমিটি:
সভাপতি – সঞ্জয় কান্ত দাস।
সহ সভাপতি – সুমিত কান্তি দাস পিনাক।
সাধারণ সম্পাদক – বুশরা সুহাইল।
সাংগঠনিক সম্পাদক – দোয়েল রায়।
দপ্তর সম্পাদক – মিসবাহ খান।
অর্থ সম্পাদক – মঞ্জুর রহমান রিপন।
প্রচার সম্পাদক – কিশোর দাস।
স্কুল বিষয়ক সম্পাদক – পূর্ণিমা দাস।
সদস্য- অধীর বাউরি

শেয়ার করুন