ডেস্ক রিপোর্ট
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: চলতি আইপিএলে প্রথম দেখায় লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠে বড় ব্যবধানে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার ঘরের মাঠে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দলের শোধ নেওয়ার পালা। যেখানে অধিনায়ক নিজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তবে সবেমাত্র প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে। অধিনায়কের সেঞ্চুরিতে এবারের আইপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ পুঁজি গড়েছে চেন্নাই। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ২১০ রান।
দু’দলের আগের ম্যাচের মতো আজও (মঙ্গলবার) টস হেরে এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নামে চেন্নাই। ফর্ম না থাকায় আসরের শুরু থেকেই দলটির ওপেনিং করা ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্রকে ছাড়াই এদিন তারা একাদশ সাজায়। যদিও এই আইপিএলে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে আজ ব্যর্থ অজিঙ্কা রাহানে। এরপর মিডল অর্ডারের আরও দুই ব্যাটারও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। সেখান থেকে গায়কোয়াড় ও শিবাম দুবে মিলে গড়লেন বড় জুটি। শেষ পর্যন্ত গায়কোয়াড় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং দুবে করেছেন ৬৬ রান।
ঘরের মাঠে চেন্নাই বরাবরই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। তাদের চার জয়ের তিনটিই এসেছে চিপকের এই ভেন্যুতে। তবে ওপেনিংয়ে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান রাহানে। যদিও সেই ধাক্কা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গী বানিয়ে সামলাতে থাকেন গায়কোয়াড়। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি, বিদায়ের আগে মাত্র ১১ রান (১০ বল) করেন।
মিচেল-গায়কোয়াড় এবং এরপর নামা রবীন্দ্র জাদেজা-গায়কোয়াড়ের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হলেও, সেখানে বড় অবদান ছিল চেন্নাই অধিনায়কের। জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৬ রানে (১৯ বল)। গায়কোয়াড় রান এবং একপ্রান্ত আগলে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় উইকেট পতনে সেভাবে সমস্যা হচ্ছিল না। এরপর শিবাম দুবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। গায়কোয়াড়ের চেয়েও এই তরুণ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন।
অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন ৫৬ বলে। একইসঙ্গে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও সেঞ্চুরির নজির গড়েছেন গায়কোয়াড়। তার বর্তমান বয়স ২৭ বছর ৮৩ দিন। এরচেয়ে কম বয়সে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। এদিন রুতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসে পেয়েছেন কেবল ১ বল, ইনিংসের চূড়ান্ত বলটিকে তিনি পরিণত করেন চারের বাউন্ডারিতে।
লখনৌর হয়ে ম্যাচে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর। কিউই পেসার হেনরি এক উইকেটের বিনিময়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়েছেন, এতে তিনি দলের সবচেয়ে ইকোনমি বোলারও ছিলেন।