ডেস্ক রিপোর্ট
১৬ আগস্ট ২০২৩, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আবার রাজনীতিতে ফিরবেন—এমন আশা ব্যক্ত করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, আমরা দেশনেত্রীকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করব, চিকিৎসা করে তিনি আবার রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসবেন, লাখ-কোটি মানুষের সামনে আবার বক্তব্য দেবেন।’
খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় তাঁর রোগ মুক্তির জন্য দোয়া মাহফিলের আগে বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলায় এই দোয়া মাহফিল হয়। বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও দোয়া মাহফিল হয়।
নয়াপল্টনের দোয়া মাহফিলে আমীর খসরু অভিযোগ করে বলেন, অনির্বাচিত স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতা দখলের প্রকল্পের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে কারাবরণ করতে হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্য যে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, অনেকের মনে অনেক সন্দেহ রয়েছে। আগামী দিনে অনেক কথা প্রকাশিত হবে।
হুঁশিয়ারি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, চিকিৎসা না দিয়ে ওনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর দায় শুধু সরকার নয়; এর সঙ্গে জড়িত যারা বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে, যারা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে, প্রত্যেককে এই দায় বহন করতে হবে।
আজকে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আমীর খসরু।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৯ আগস্ট পদযাত্রা কর্মসূচির উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘প্রয়োজনে দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য আরও কঠিন কর্মসূচি আসতে পারে। সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবদিন, আতাউর রহমান, খায়রুল কবির, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, চিকিৎসক নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। পরে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেসারুল হক খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
গুলশানের দোয়া মাহফিলে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর ও আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, হাবীব উন নবী খান প্রমুখ।