ডেস্ক রিপোর্ট
২৬ জুলাই ২০২৪, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার-দমন-নির্যাতন বন্ধ কর; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দাও, ছাত্রদের নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের।
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা গত কয়েকদিনে কয়েকশত ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে আজ ২৬ জুলাই বিকেল ৪টায় পল্টন মোড়ে জমায়েত হয়ে শোক মিছিল করে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সামনে শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলের সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, দপ্তর সম্পদাক অনিক কুমার দাস প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা গত কয়েকদিনে কয়েকশত ছাত্র-জনতা হত্যার পর এখন অব্যাহতভাবে গ্রেপ্তার-দমন-নির্যাতনের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণবিক্ষোভকে আপাত প্রশমনের লক্ষ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে শিক্ষার্থীরা দাবি করছে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন, বিভিন্ন অংশীজনের মতামত গ্রহণের মধ্য দিয়ে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও তা সংসদে আইন পাশ করে কার্যকর করা। অপরদিকে কয়েকশত শিক্ষার্থীর লাশের উপর দাঁড়িয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করলো তাতে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ঘটেনি বরং যে দুর্বলতা আছে তা ভবিষ্যতে আরও জটিলতার জন্ম দিতে পারে। আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে একদিকে হত্যা নির্যাতন চালানো এবং পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পেশ করেছেন-
১. ছাত্র-জনতা হত্যার দায় স্বীকার করে অনতিবিলম্বে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
২. গণগ্রেপ্তার, হয়রানি, দমন-পীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারফিউ প্রত্যাহার করে জনজীবন স্বাভাবিক করতে হবে। ইন্টারনেট চালু করতে হবে।
৩. অংশীজনের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও সংসদে আইন পাশ করে তা কার্যকর করতে হবে।
৪. সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া, ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব প্রত্যাহার করে নেয়া এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে। হল খুলে মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করতে হবে।
৫. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিসমূহ মেনে নাও, সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।