ডেস্ক রিপোর্ট
১২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রয়াত স্বজনদের স্মরণে আয়োজিত শ্মশান দীপাবলী উৎসবে মানুষের ঢল নেমেছে। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে শুধু দেশ নয় দেশের বাইরে থেকেও সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে স্বজনরা এসে থাকে। ২০৬ বছর ধরেই এই উৎসব চলে আসছে। যে কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্মশান দীপাবলী আলাদা গুরুত্ব বহন করে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ভূতচতুর্দশী তিথিতে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। চলবে কালীপূজার তিথির পূর্ব পর্যন্ত।
মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জী কুডু জানিয়েছেন, ভূত চর্তুদ্দশী তিথিতে দীপাবলীর শুরু হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরের অসংখ্য স্বজন এসে সমাধিতে মোমবাতি প্রজ্জলন, প্রিয়জনদের প্রিয় খাবার উৎসর্গ করে, পূজা অর্জনা করেন। এই দিনকে ঘিরে শ্মশান রক্ষা কমিটির প্রস্তুতি থাকে।
তিনি বলেন, আগত স্বজনদের নিরাপত্তা ও দিবসটির গুরুত্ব বজায় রেখে আয়োজন সম্পন্ন করা হচ্ছে। পূজা উদযাপন কমিটি মনে করছে চলতি বছরে এক লাখের বেশি লোকসমাগম হয়েছে।
সুজন শীল নামে একজন জানান, স্বরূপকাঠি থেকে আমরা পরিবারের ৬ জন এসেছি। প্রতি বছরই আসি। এই শ্মশানে আমার মা-বাবার সমাধি। এই দিনে তাদের স্মরণে পূজা-অর্জনা করতেই এখানে আসি। আমার মা-বাবা যে খাবার পছন্দ করতেন তা উৎসর্গ করা হয় এইদিনে।
নমিতা রাণী বলেন, স্বজনদের স্মরণে ভূতচর্তুদশী তিথিতে আমরা একত্রিত হই। প্রতি বছরই এই তিথিতে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। এই শ্মশান পুরাতন শ্মশান হওয়ায় এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষের স্বজনদের সমাধি রয়েছে।
জানা গেছে, মহাশ্মশান এলাকার নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে ১০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ নিরপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।
মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, শ্মশান দীপাবলীর নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের অন্যান্য শাখা কাজ করছে। সুন্দরভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কাউনিয়া এলাকায় ২০৬ বছর পূর্বে ৫ একর ৯৬ শতাংশ জমির ওপর মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠিত হয়। এ শ্মশানে প্রায় অর্ধলাখ সমাধি রয়েছে।