ডেস্ক রিপোর্ট
১২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগের দাবি করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে এই ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে মন্তব্য করেন তারা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ১ দফা যুগপৎ আন্দোলনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট ডাকাতি হয় কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকা মার্কার ব্যালটে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৭টি ভোটের সিল মেরে রেকর্ড করেছেন। আগামীতেও এই সরকার আরও ভয়ংকর নির্বাচন করতে চায়। তবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে দেওয়া হবে না।
জোট নেতরা বলেন, স্বৈরাচারী শাসককে আর বিশ্বাস করা যাবে না। এই সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে দেশ এবং দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই যে দল বা ব্যক্তি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে হামলা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
এসময় ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান আইনজীবী সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সাদা পোশাকে গাড়িতে তুলে নেওয়ায় প্রতিবাদও জানান তারা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদদীন টিটুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, মাওলানা আবদুল করিম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আইনজীবী মুজিবুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব।