ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা : আইজিপি

আপডেট টাইম : আগস্ট ২৮, ২০২৩ ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনগতভাবে আমরা কী করতে পারব আর আমাদের সীমাবদ্ধতা কী সেই সর্ম্পকে পুলিশ সদস্যদের অবহিত করা আছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসের ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে রেঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তাদের কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন যে দায়িত্ব অর্পণ করবে তা আমরা সকল সক্ষমতা দিয়ে পালন করবো। দেশের বিভিন্ন বিভাগে পুলিশ স্কুল রয়েছে। আমি চেষ্টা করছি বরিশালেও পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করার। স্বাধীনতার পর ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য ছিল। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১২ হাজারে। এরমধ্যে প্রতিনিয়ত পুলিশ সদস্যরা অবসরে যাচ্ছেন। সেই সংখ্যক সদস্য নতুন করে নিয়োগ দিতে হচ্ছে। এ জন্য বরিশালে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সুবিধা হতো।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে হবিগঞ্জে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন ওসি আহত হয়েছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক আমি নিজে যোগাযোগ রাখছি। তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। শুধু তিনি নন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের সদস্যরা আক্রান্ত ও আহত হলে তার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে যারা আক্রমণ করবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী। যখনই কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দিয়ে যেকোনো ধরনের নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম। আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি কেউ অবনতি ঘটাতে চায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচনের আগে কোনো বিশেষ অভিযান চালানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ অভিযান আমরা কখন, কোথায় ও কীভাবে করবো কৌশলগত কারণে আমি মনে করি সেটা প্রকাশ না করাই ভালো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন রাখতে যখন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা আমরা গ্রহণ করবো।

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি।

এ সময়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

শেয়ার করুন