ডেস্ক রিপোর্ট
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: শ্রম আইনের কার্যকর সংশোধনের মাধ্যমে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, অবিলম্বে পোষাক শ্রমিকদের চলতি মাসের বেতন ও উৎসব বোনাসসহ বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ, শ্রম আইনের কার্যকর সংশোধনের মাধ্যমে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ এবং মজুরি আন্দোলনে ৪ জন শ্রমিক হত্যার জন্য দায়িদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহতদের পরিবার কে আই.এল.ও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের মানদন্ডে ক্ষতিপুরণ প্রদানের দাবিতে আজ ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র
কুমার দাস, সহ-সম্পাদক আহমেদ জীবন, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক হাসনাত কবির, রাহাত আহমেদ, আল আমিন হাওলাদার শ্রাবন, রুহুল আমিন সোহাগ, আনিসুর রহমান আনিস, শুভ আচার্য্য প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রক্ত ঘামের বিনিময়ে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটলেও শ্রমিকদের অবদান কে অস্বীকার করে গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি সরকারের তোসণ নীতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা। আই.এল.ও সহ আন্তর্জাতিক শ্রম অংশিদারদের শ্রম খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে সরকার পাশকাটানোর অপকৌশল নিয়েছে। শ্রম আইনের সংশোধনীতে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের চর্চাকে বাধামুক্ত করার দাবি উঠলেও ট্রেড ইউনিয়নের্ও পর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর বিধান কৌশলে যুক্ত করা হচ্ছে। শ্রম আইনের নিপিড়ন ও বৈষম্যমূলক ধারা ১৩(১), ২৩, ২৬, ২৭(৩ক) ইত্যাদি ধারা অব্যাহত রেখে “মহিলা” এর পরিবর্তে “নারী” শব্দের
প্রতিস্থাপন জাতীয় অগুরুত্বপূর্ণ কিছু সংশোধনী গ্রহণ করে শ্রমিক পক্ষের দাবিপূরণের উদাহরণ তৈরির কৌশল নেয়া হয়েছে। প্রতি বছর ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত করা এবং শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া
রেখে আকস্মিকভাবে কারখানা বন্ধ করার ঘটনা নিয়মিত হলেও সরকার শ্রমিকদের উৎসব বোনাসসহ পাওনা পরিশোধ নিশ্চিত করতে ২০ রোজার মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের কঠোর নির্দেশ না দিয়ে মালিকদের অন্যায় করতে প্রশ্রয় দেয়। বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রীও তার পূর্বসূরীদের পথ ্অনুসরণ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন রাখেন, ৪ এপ্রিল তারিখের পর থেকে যদি সরকারী অফিসের কর্মকর্তারা ছুটিতে চলে যান আর ৯ বা ১০ এপ্রিলে গার্মেন্টস ছুটি দেওয়ার আগে যদি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করা হয়, তাহলে শ্রমিকরা
প্রতিকারের জন্য কার কাছে যাবে? কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পোষাক শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বেতন পরিশোধের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, তদন্ত করে মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়িদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে আজীবন আয়ের মানদন্ডে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।